দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ করার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বর্তমান ঋণের সুদের হার বাড়ানোরও বিরোধিতা করেন তিনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত ইআরএফ-এর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জসিম এ কথা বলেন।
“বাংলাদেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে নেই যে আইএমএফ থেকে কোনো শর্তে ঋণ নিতে হবে। ঋণের সুদের হার বাড়ানো উৎপাদন খরচ বাড়াবে। সেটি ভোক্তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে,” তিনি যোগ করেন।
জসিম বলেন, “ব্যবসায়ীরা বিশ্বাস করে না যে সুদের হার বাড়ানোর মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে। তবে তিনি ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে।”
তিনি বলেন, “যখন সুদের হার কমানো হয়েছিল, তখন প্রচুর বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগ করে। ঋণের হার বাড়ানোর জন্য গবেষণা সংস্থাগুলোর বিভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। শিল্পটি প্রভাব থেকে বাঁচবে কিনা তা বিবেচনা করা দরকার।”
জসিম বলেন, “নির্বাচনী বছরে অর্থ পাচারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু বলেছে যে তারা আমদানির আড়ালে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি দামের প্রমাণ পেয়েছে, সেহেতু জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচিত। যদি তা না হয় তবে শুধুমাত্র জনপ্রিয়তার জন্য আপনাকে লম্বা দাবি করা বন্ধ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “যারা চালান কারচুপি করে অর্থ পাচার করে তাদের ধরা উচিত এবং এফবিসিসিআই চায় সরকার এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।”
সম্ভাব্য আসন্ন দুর্ভিক্ষ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রশ্নের জবাবে জসিম বলেন, “দুর্ভিক্ষ হলে তা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলবে। আমাদের কঠোরতা বজায় রাখতে হবে। এর পাশাপাশি আমাদের কৃষি খাতে কাজ করতে হবে।”
তিনি শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের ওপর জোর দেন। এছাড়া জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গৃহস্থালির গ্যাস সরবরাহ কমানোর পক্ষে মত দেন।