দুই দফা সময় বৃদ্ধির পরেও দেশে এ বছর ৩০ লাখ টিআইএন হোল্ডার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, প্রায় ৩৬% টিআইএন ধারক আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। সময় বৃদ্ধি ও সচেতনতা বাড়ালেও এনবিআরের প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়ছে না।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ৮২ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছেন। তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর।
তবে, ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় ৩০ নভেম্বর থেকে এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি হওয়ায় ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের সময় পান করদাতারা।
মেয়াদ শেষের দিন পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছেন ২৮,৫১,০০০ করদাতা। আর আয়কর এসেছে ৪,১০০ কোটি টাকা। রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধির আবেদন জমা পড়েছে প্রায় আড়াই লাখ।
২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশ পরিবর্তিত হয়। এতে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পরে রিটার্ন দাখিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ কারণে সময় সম্প্রসারণের পথ বন্ধ ছিল।
তবে গত দুই বছরে কোভিড-১৯ মহামারী ও দেশীয় অর্থনীতির বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছিল।
করদাতাদের প্রত্যাশা পূরণে এক ছাদের নিচে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত করা যায়নি।
নভেম্বর মাসে উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের ৩১টি কর অফিস করদাতাদের সেবা প্রদান করেছে।
আয়কর নির্দেশিকা ২০২২-২৩ অনুযায়ী, ৪০ ধরনের পরিষেবার জন্য রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এর কারণে ই-টিআইএন ধারকদের রিটার্ন দাখিলের কোনো বিকল্প নেই।
তা না হলে জনগণকে বিভিন্ন সেবা পেতে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে।