বৈশ্বিক মহামারীর পর চলমান মন্দার পর ডিসেম্বর থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের উত্পাদন খাত। এরমধ্যে খাদ্য, পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম ও তামাক এগিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্যে আগের সূচকের তুলনায় উত্পাদন খাতের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রবণতা উঠে এসেছে।
মুদ্রাস্ফীতি, ডলারের ঘাটতি ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও উৎপাদনকারীরা।
বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এক বছরের আগের সময়ের তুলনায় ২০২২ সালের শেষ মাসে ভালো ছিল।
এ অর্থবছরে (২০২৩) প্রথম ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এই সূচক ২% কমেছিল।
এই সময়ে পানীয় শিল্প ৫৮০%, কোক ও পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম উত্পাদন প্রায় ২০০%, তামাক ৪৫% এর বেশি, টেক্সটাইল প্রায় ৮%, আরএমজি ১৭.৪% এর বেশি, চামড়া ও সম্পর্কিত পণ্য ৯.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য ২৩.৯%, আসবাবপত্র ২১% এর বেশি ও মুদ্রণ ২৫.৬% বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও উৎপাদনকারীরা বলছেন, এই বৃদ্ধির অর্থ হলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে শুরু হয়েছে।
তবে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির আগে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও কাঁচামালের উচ্চ মূল্যকে চ্যালেঞ্জ বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে আসন্ন মাসগুলোতে অনেক সেক্টরে মন্দা জেঁকে বসতে পারে। বিশেষত পোশাক ও অন্যান্য রপ্তানি হ্রাস পেতে পারে।
তৈরি পোশাক খাত বা আরএমজি রপ্তানির অংশের ৮০%-এর বেশি, ডিসেম্বরে ১৭%-এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২২ অর্থবছরে উৎপাদন খাতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে অবদান প্রায় ২৩% ছিল। আর বড় আকারের উত্পাদন অংশের অংশ ছিল প্রায় ১১%।
ক্ষুদ্র, মাঝারি ও মাইক্রো খাতের অবদান ছিল প্রায় ৮%। কুটির শিল্পের প্রায় ৪% অবদান ছিল।