ডলার নিয়ে সঙ্কট থাকলেও আগের মাসের তুলনায় ক্রেডিট লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) খোলা ও নিষ্পত্তিকরণ যথাক্রমে ২৫% ও ১০% বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে ৫.৩৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন এলসি খোলা হয়েছে, যা এপ্রিলের তুলনায় ১.০৩ বিলিয়ন ডলার বেশি।
একইভাবে, মে মাসে ৪.৬৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এলসি ব্যাংকগুলো নিষ্পত্তি করেছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিনিষেধ ও চলমান ডলার সঙ্কটের কারণে এপ্রিলে এলসি খোলা ৩২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
ওই মাসে এলসি নিষ্পত্তি ২১ মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছিল।
এপ্রিলে মাত্র ৪.৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আমদানি এলসি খোলা হয়েছিল, যেখানে নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪.৬৯ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) জুলাই থেকে এপ্রিলের সময়কালে, মোট ৫৬.৩৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আমদানি লেটার অফ ক্রেডিট খোলা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৭% হ্রাস পেয়েছে।
অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ৬২.৪০ বিলিয়ন, যা বছরে প্রায় ৮% কম ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে কম্পিউটার ও মোটরসাইকেলের মতো শিল্প যন্ত্রপাতির জন্য এলসি খোলা ৪৬% কমেছে বলে উঠে আসে।
টেক্সটাইল ফ্যাব্রিক ও রাসায়নিকের মতো শিল্প কাঁচামালের জন্য এলসি খোলার পরিমাণ ৩২% কমেছে, সিমেন্ট, স্ক্র্যাপ জাহাজের মতো মধ্যবর্তী পণ্যে এলসি খোলা কমেছে ৩১%। চাল ও গমের মতো ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা কমেছে ১৮%।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থবছরের (২০২২-২৩) ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ব্যাংকগুলোর কাছে প্রায় ১২.৬৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
দেশের রিজার্ভ ৩১ মে শেষে ২৯.৯১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪২.২০ বিলিয়ন ডলার।