মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম রপ্তানির সুযোগ বাংলাদেশের হাতছাড়া
বাংলাদেশ তার মোট শ্রমের ৯০%-ই ওআইসি দেশগুলোতে রপ্তানি করে
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে অভিবাসী শ্রমিকরা লাগেজ নিয়ে বের হচ্ছেন ফাইল ছবি/এএফপি
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:০৮ পিএমআপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:০৮ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম রপ্তানির নতুন পথ খোলার সুযোগ বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়া এ ধারণার জন্ম দিয়েছে।
শ্রম রপ্তানিখাত ও কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ তার মোট শ্রমের ৯০% ওআইসি দেশগুলোতে রপ্তানি করে।
ওআইসির মধ্যে সিঙ্গাপুরই একমাত্র বড় দেশ যারা ২০২১ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়কালে মোট ২১ হাজার ৩৩৯ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। যেখানে অন্যান্য দেশগুলোতে বাংলাদেশের মোট ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রম রপ্তানি বাজারের ৭৬.১৫%-ই সৌদি আরবের। সে কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্য সৌদি আরব।
এ বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর মেয়াদে বাংলাদেশ সৌদি আরবে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৫ জন শ্রমিক রপ্তানি করেছে।
এ বছর ওআইসির সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম অসুস্থতার কারণে শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করেছিলেন।
ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম রপ্তানি বাজারে পাকিস্তান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা ওআইসি বৈঠকের বাইরেও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে শ্রম রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এ বছর বাজার পুনরুদ্ধার করার জন্য সবগুলো দেশই তৎপর। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া অন্যান্য দেশের জন্য তার শ্রম রপ্তানি বাজার পুনরায় চালু করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব পালন করা অবসরপ্রাপ্ত এক কূটনীতিবীদ বলেন, শ্রম রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ওআইসি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল পাঠালে বাংলাদেশ আরও ভালো করতো।
বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে অন্য রাষ্ট্রগুলো। সেখানে বাংলাদেশ শ্রম রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করলে অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু বাংলাদেশ ওআইসি দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের একসঙ্গে পেয়েও আলোচনার সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
ঢাকা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকাকে এক শীর্ষস্থানীয় শ্রম রপ্তানিকারক বলেন, “কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য।”
এদিকে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, “ওআইসি একটি মানবিক ট্রাস্ট তহবিল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে একটি খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করবে এবং আফগানিস্তানের জন্য আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতগুলোও খুলে দেবে, যাতে আফগানিস্তানের জনগণকে মানবিক সংকটের মুখোমুখি হতে না হয়।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা বলেন, “ওআইসি’র অসাধারণ অধিবেশনে বিপুল সংখ্যক দেশ অংশগ্রহণ করেছে, যা আফগান জনগণের ভবিষ্যতের জন্য আবারও আশা জাগিয়েছে।”
তিনি বলেন, “ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আফগানিস্তানের জন্য একটি বিশেষ তহবিল খুলেছে। এর মাধ্যমে দেশ, সংস্থা এবং ব্যক্তিদের পাঠানো অনুদান আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ব্যবহার করা হবে।”
মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম রপ্তানির সুযোগ বাংলাদেশের হাতছাড়া
বাংলাদেশ তার মোট শ্রমের ৯০%-ই ওআইসি দেশগুলোতে রপ্তানি করে
মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম রপ্তানির নতুন পথ খোলার সুযোগ বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়া এ ধারণার জন্ম দিয়েছে।
শ্রম রপ্তানিখাত ও কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ তার মোট শ্রমের ৯০% ওআইসি দেশগুলোতে রপ্তানি করে।
ওআইসির মধ্যে সিঙ্গাপুরই একমাত্র বড় দেশ যারা ২০২১ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়কালে মোট ২১ হাজার ৩৩৯ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। যেখানে অন্যান্য দেশগুলোতে বাংলাদেশের মোট ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রম রপ্তানি বাজারের ৭৬.১৫%-ই সৌদি আরবের। সে কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্য সৌদি আরব।
এ বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর মেয়াদে বাংলাদেশ সৌদি আরবে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৫ জন শ্রমিক রপ্তানি করেছে।
এ বছর ওআইসির সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম অসুস্থতার কারণে শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করেছিলেন।
ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম রপ্তানি বাজারে পাকিস্তান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা ওআইসি বৈঠকের বাইরেও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে শ্রম রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এ বছর বাজার পুনরুদ্ধার করার জন্য সবগুলো দেশই তৎপর। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া অন্যান্য দেশের জন্য তার শ্রম রপ্তানি বাজার পুনরায় চালু করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব পালন করা অবসরপ্রাপ্ত এক কূটনীতিবীদ বলেন, শ্রম রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ওআইসি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল পাঠালে বাংলাদেশ আরও ভালো করতো।
বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে অন্য রাষ্ট্রগুলো। সেখানে বাংলাদেশ শ্রম রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করলে অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু বাংলাদেশ ওআইসি দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের একসঙ্গে পেয়েও আলোচনার সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
ঢাকা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকাকে এক শীর্ষস্থানীয় শ্রম রপ্তানিকারক বলেন, “কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য।”
এদিকে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, “ওআইসি একটি মানবিক ট্রাস্ট তহবিল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে একটি খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করবে এবং আফগানিস্তানের জন্য আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতগুলোও খুলে দেবে, যাতে আফগানিস্তানের জনগণকে মানবিক সংকটের মুখোমুখি হতে না হয়।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা বলেন, “ওআইসি’র অসাধারণ অধিবেশনে বিপুল সংখ্যক দেশ অংশগ্রহণ করেছে, যা আফগান জনগণের ভবিষ্যতের জন্য আবারও আশা জাগিয়েছে।”
তিনি বলেন, “ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আফগানিস্তানের জন্য একটি বিশেষ তহবিল খুলেছে। এর মাধ্যমে দেশ, সংস্থা এবং ব্যক্তিদের পাঠানো অনুদান আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ব্যবহার করা হবে।”