ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্যের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা দ্বিপক্ষীয় লেনদেনে এখন থেকে রুপির ব্যবহার করবেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারত ভ্রমণের সুবিধার্থে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে “টাকা-রুপি কার্ড” চালু করা হবে। এই কার্ড দিয়ে দেশে ও প্রতিবেশী ভারতে বিল পরিশোধ করা যাবে।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের নিজস্ব জাতীয় কার্ড (ডেবিট কার্ড) তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি চালু করার আশা করছি। আমরা ভারতীয় (কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক) পক্ষের সঙ্গেও কাজ করছি। তাদের অনুমতি পেলে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ডুয়াল কারেন্সি কার্ড চালু করতে পারব।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, “ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। বাংলাদেশ সেখান থেকে বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে। আর ভারতে রপ্তানি করে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এই আলোচনা চলছিল। ব্যবসায়ীরাও এর দাবি করে আসছেন অনেক দিন ধরে। এবার তা বাস্তব রূপ পেলো।”
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ভারতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ এবং প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয় দেশে।
রুপিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজ দেশের দুটি ব্যাংককে হিসাব খোলার অনুমতি দিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সোনালী ও ইস্টার্ন ব্যাংক রুপি লেনদেনে বিশেষ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পেয়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংকে লেনদেন হিসাব খুলেছে সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক। একইভাবে বাংলাদেশের এ দুটি ব্যাংকে হিসাব খুলেছে ভারতীয় ওই দুটি ব্যাংকও।