নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি করার অভিযোগে সাত মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই কারণে আরও ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, “আমরা মানি চেঞ্জারের সাতটি লাইসেন্স স্থগিত করেছি। ১০ জন মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যাখ্যা তলব নোটিশ জারি করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “স্থগিত মানি চেঞ্জাররা কেবলমাত্র ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের নির্ধারিত হারের তুলনায় মার্কিন ডলারের জন্য অনেক বেশি দামই নিচ্ছে না, তারা বিভিন্ন লেনদেনের ভুল রিপোর্ট দেওয়াতেও জড়িত ছিল।”
মানি চেঞ্জারদের কাছে থাকা লাইসেন্সগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করে। তারা সরাসরি ব্যক্তিদের সাথে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করে। যা কার্ব মার্কেট হিসাবে পরিচিত।
এই বাজারটি আন্তর্জাতিক যাত্রীদের, প্রধানত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ডলার ও অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
একইভাবে, ব্যবসায়িক ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে রওনা হওয়া আন্তর্জাতিক যাত্রীরা এই বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান গ্রাহক।
বর্তমানে, বাংলাদেশে প্রায় ২৩৫ জন মানি চেঞ্জার রয়েছে যারা ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটসহ শহরে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিপরীতে যেখানে মার্কিন ডলার ১০৯ টাকা থেকে ১০৯.৫০ টাকার মধ্যে লেনদেন করতো, অনানুষ্ঠানিক বাজার বা কার্ব মার্কেটে রেট ১১৬.৯৫ থেকে ১১৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুলাই ও চলতি আগস্ট মাসে ডলার কেনায় ব্যাপক চাহিদা ছিল। এ সময়ে অনেকে বিদেশে ভ্রমণের জন্য গেছেন। আবার শিক্ষার উদ্দেশ্যে অনেকে বিদেশে গেছেন। ফলে তাঁদের প্রায় সবাই নগদ ডলার সঙ্গে করে নিয়েছেন। এ কারণে ডলার কেনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়।
মেজবাউল হক বলেন, “এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার পর অন্যদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”