দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে। এ কারণে দেশি কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।
এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় বাজারে দেশি কাঁচা মরিচ ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। বুধবার (২৯ মে) দুপুরে হিলি স্থলবন্দর ও বাজারে মানভেদে ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায় কাঁচা মরিচ। এদিকে, বন্দরে আমদানি করা মরিচ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে যার দাম কেজিতে ১২০ টাকা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২৩ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ২২টি ভারতীয় ট্রাকে ২১২ মেট্রিক টন ২০০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
এর আগে বেশ কিছুদিন ধরে হিলিতে কাঁচা মরিচের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি এতই খারাপ ছিল যে দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। তবে ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ার পর দাম কমতে শুরু করে।
হিলি বাজারের বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, “টানা খরায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। সে কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়েছে। এখন ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। তাই দাম কমে এসেছে।”
পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান, অনুমতি পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। এখন প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি হচ্ছে। কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড় করা হচ্ছে এসব মরিচ। এতে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্বের পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয়ও বেড়েছে।