Saturday, April 26, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন

সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মৃত্যুর সময় তার দুই সন্তান তার পাশে ছিলেন বলে তার আত্মীয় সৈয়দ আলমাস কবীর এক ফেসবুক পোস্টে জানান।

আলমাস কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বার্ধক্যজনিত কারণে জনাব এলাহীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে এসেছিল। প্রথমে ফুসফুসের সংক্রমণ কাটিয়ে উঠলেও, পরবর্তীতে পাকস্থলীর সংক্রমণ হয়।”

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি।

সৈয়দ মঞ্জুর ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৬ সালে যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল; পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০১ সালে কৃষি, নৌপরিবহন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৪২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্ম নেওয়া মঞ্জুর এলাহী কলকাতার সেন্ট জাভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

১৯৭২ সালে তিনি মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। চার বছর পর তিনি ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে অ্যাপেক্স ট্যানারি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৪ বছর পর তার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার। বর্তমানে এটি দেশের শীর্ষ জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

বাণিজ্য ও শিল্পক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো–আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (এএমসিএইচএএম), বাংলাদেশ থেকে ২০০০ সালে “বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দ্য ইয়ার” এবং ২০০২ সালে “বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার” পুরস্কার।

 

   

About

Popular Links

x