Saturday, April 19, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

জামানত ছাড়াই পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন টিন নম্বরবিহীন উদ্যোক্তারা

সিএমএসএমই খাতের নতুন নীতিমালায় ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা’ শ্রেণি যুক্ত করা হয়েছে

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম

করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিন) নেই এমন ছোট ছোট উদ্যোক্তারা জামানাত ছাড়াই পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। অন্য ব্যবসা সংক্রান্ত সনদ দিয়ে এই ঋণ নিতে পারবেন তারা।

সোমবার (১৭ মার্চ) আগামী পাঁচ বছরের জন্য সিএমএসএমই খাতের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সেখানে “অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা” নামের একটি নতুন শ্রেণি যুক্ত করা হয়েছে।

এই শ্রেণিতে এখন থেকে বাংলাদেশে এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তাদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে বলেন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন উদ্যোক্তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন, নীতিমালায় তা–ও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, জাতীয় শিল্পনীতি–২০২২–এর আলোকে “অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের উদ্যোক্তা’”বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা–২০২১ অনুযায়ী এই উদ্যোক্তাদের সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে। ইউনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ইউবিআইডি), ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ডিবিআইডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট (পিআরএ) আছে, এমন শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র বা ভাসমান উদ্যোক্তা বা সেবাপ্রদানকারীরা “অপ্রাতিষ্ঠানিক বা প্রান্তিক উদ্যোক্তা” হিসেবে বিবেচিত হবেন।

উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা—এই তিন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারা, যাদের জনবল পারিবারিক সদস্যসহ ১০ জনের বেশি নয়, তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এই শ্রেণির উদ্যোক্তাদের টার্নওভারের শর্ত রাখা হয়নি। তবে তাদের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতীত প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের মূল্য পাঁচ লাখ টাকার কম হতে হবে।

নীতিমালা অনুয়ায়ী, সিএমএসএমই খাতের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মাঝারি শিল্প–উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ১২১ থেকে ৩০০ কর্মী আছেন, এমন তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান অথবা এক হাজার কর্মী আছেন, এমন শ্রমঘন শিল্পে এই ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া মাঝারি শিল্পের মধ্যে সেবা খাতে সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৫১ থেকে ১২০।

উৎপাদন খাতের ক্ষেত্রে মাইক্রো শিল্পে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা ও ক্ষুদ্র শিল্পে ২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। মাঝারি শিল্পের ট্রেডিং খাতে ১০ কোটি টাকা এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ট্রেডিং ও সেবা খাতে সর্বোচ্চ আট কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে।

অন্যদিকে মাইক্রো শিল্পের ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া, কুটিরশিল্পে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে।

এর আগে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ বছরের জন্য সিএমএসএমই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। সেই নীতিমালার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন এই নীতিমালা করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই নীতিমালা কার্যকর হবে।

   

About

Popular Links

x