বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার দীর্ঘদিন পর বিহার পুলিশের কাছে এফআইআর করেছেন তার বাবা কে কে সিং। সেখানে মূল অভিযুক্ত সুশান্তের সাবেক প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাই পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে বিহার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সুশান্তের বাবা।
গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মুম্বই পুলিশ। জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারা ভারতে আরোপিত লকডাউনের পুরো সময়টাই নাকি সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে ছিলেন রিয়া। অথচ তাদের সম্পর্কের বিষয়টি এর আগে একাধিকবার অস্বীকার করেছেন রিয়া!
পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক কয়েকদিন আগেই নাকি ঝগড়া করে বাড়ি ছাড়েন রিয়া। সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয় যখন রিয়ার সঙ্গে পরিচালক মহেশ ভাটের কিছু ছবি হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সব ছবিতে কখনও রিয়ার বুকে মহেশের মাথা আবার কখনও বা রিয়া মহেশকে লিখেছেন “মাই বুঢডা”।
সুশান্তের পরিবারের দাবি, রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সুশান্তের প্রেম নিয়ে কিছুই জানতেন না তারা। রিয়াকে তারা কখনও দেখেননি এবং সুশান্তের মুখেও কখনও রিয়ার নাম শোনেননি৷ সুশান্তের বাবার অভিযোগ, সুশান্ত আগে যে বাড়িটায় বাস করতেন সেখানে ভূতপ্রেত আছে বলে সেই বাড়ি তাক ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন রিয়া৷ এমনকি লকডাউনের ঠিক আগেই সুশান্তের দেহরক্ষী বদল করেছিলেন রিয়া।
পরিবারের আরও অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে সুশান্তকে দূরে রাখার চেষ্টাও করেছিলেন রিয়া। রয়েছে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও। সুশান্তের একটি অ্যাকাউন্টের ১৭ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়। সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সুশান্তের কোনো সংযোগ নেই।
কেন রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর থেকে সুশান্তের হাতে ছবির সংখ্যা কমতে থাকে, সে প্রশ্নও তুলেছেন অভিনেতার বাবা। কেনই বা গোটা লকডাউনে সুশান্তের বডিগার্ড সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, উঠছে সেই প্রশ্নও।
যদিও এই বিষয়ে আরও একটি পাল্টা প্রশ্নও উঠছে। এতদিন কেন চুপ ছিল সুশান্তের পরিবার?
এ প্রসঙ্গে সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-কে জানান, “সুশান্তের এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় পরিবারের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। মুম্বাই পুলিশ এর আগে অনেকবার বলা সত্ত্বেও রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর নিচ্ছিল না। বরং বলিউডের বড় প্রযোজনা সংস্থাগুলোর নাম নেওয়ার জন্য বলছিল পুলিশ।’’