করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভক্তদের সাথে যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ঘরে বসেই প্রিয় তারকার হাড়ির খবর যেমন জানছেন ভক্তরা তেমনি নিজেদের দৈনন্দিন সুখ-দুঃখের গল্পগুলো ভক্তদের সাথে ভাগ করে লকডাউনের সময় পাড় করছেন তারকারাও।
তেমনই এক পোস্টে গতকাল (১৪ এপ্রিল) নববর্ষ ও রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভক্তদের মহামারিকে জয় করতে বললেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা জয়া আহসান।
ব্যক্তিগত ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা ১৯ সেকেন্ডের ভিডিও-তে জয়া বলেন, "গত নববর্ষে আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই নববর্ষে খুব আনন্দ হবে। কিন্তু দুঃসময় তবু চলছে। নববর্ষ আবার আমাদের বলতে এসেছে যে আমরা একসাথে সবাই মিলে এই দুঃসময় পার করব। আর দুঃসময়টা পারি দিতে পারি বলেই আমরা মানুষ। শুভ নববর্ষ।"
তবে হাসিমুখে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানালেও জয়ার পহেলা বৈশাখ মোটেও ভালো কাটেনি। বছরের প্রথম দিনের সারাটাক্ষণই মন খারাপ ছিল দু'বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয়ী এ তারকার।
একটি বাংলা সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়া জানান, জয়ার মামা সুরকার ফরিদ আহমেদ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নববর্ষের প্রথম দিন সেখানেই ছিলেন। বাসায় ফিরে এসেও কিছুই ভালো লাগছিল না। এমনিতেই এবার পহেলা বৈশাখ নিয়েও ছিল না কোনো পরিকল্পনা। তাই মা,বোন ও পোষা কুকুর ক্লিওকে নিয়েই কাটিয়েছেন দিনটি।
সাক্ষাৎকারে জয়া আরও বলেন, আগে শুধু শুনতেনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবাই মারা যাচ্ছে। এখন নিজের পরিবারের লোকজনই মারা যাচ্ছেন। যদিও বাইরে যেয়ে কাজ করা বন্ধ আছে তাও বাসায় বসে অনলাইন মিটিং করছি। কিন্তু সবই করছি শরীরের জোরে। মনের জোরে নয়।
লকডাউনের সময়ে নিজের ছাদ বাগানে সবজি চাষ করেই অবসর সময় কাটান জয়া। নববর্ষের দিনেও নিজের হাতে ফলানো মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে আর বরবটি দিয়ে চিংড়ির ভর্তা খেয়েছেন তিনি।