বলিউডের সিনেমা “পাঠান” আমদানি করা না হলে সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন দেশের প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা। অবশেষে বিজয়ের মালা তাদের গলাতেই উঠলো। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় নতুন করে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (চলচ্চিত্র) মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ অনুমতির কথা জানানো হয়েছে।
তবে পাঁচটি শর্তে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে দুই বছরের জন্য। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- আগামী দুই বছর বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশকেরা উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবেন। বাংলাদেশি সিনেমা রপ্তানির বিপরীতে প্রথম বছরে ১০টি সিনেমা আনা যাবে। সিনেমা হলে প্রদর্শনের আগে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আজহা ও দুর্গাপূজায় কোনো সিনেমা আমদানি করা যাবে না।

ধারণা করা হচ্ছে, হিন্দি সিনেমা “পাঠান” ভারতের সঙ্গে একই সময়ে দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের আবেদন জানান প্রযোজক-নির্মাতা অনন্য মামুনের অ্যাকশন কাট অ্যান্টারটেইনমেন্ট। সেই সূত্র ধরেই একজোট হয় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতি। তারই বাস্তবায়ন ঘটলো এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
৪ মার্চ ঢাকায় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে দেশের প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, “তথ্যমন্ত্রী আমাদের প্রতিনিধিদের সচিবালয়ে ডেকে বলেছিলেন, ‘পরিচালক ও শিল্পী সমিতির অনাপত্তি থাকলে সরকার বছরে অন্তত ১০টি উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেবে'। চিত্রনায়ক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ'র ব্যানারে প্রযোজক, পরিচালক এবং শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি জানিয়ে লিখিত প্রস্তাবনা তথ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। সকল বাধা অপসারিত হওয়ার পরও আমদানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ‘না' সূচক মনোভাবের পরিচায়ক।”
এদিকে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান নেতৃত্ব শর্ত সাপেক্ষে হিন্দি সিনেমা আমদানিতে রাজি হলেও আপত্তি জানান সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এছাড়াও হিন্দি সিনেমা আমদানির প্রবল বিরোধিতা করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুও।