২০১৬ তে বলিউডে আলোড়ন তুলেছিলো ‘ট্র্যাফিক’ নামের এক চলচ্চিত্র। গল্পে দেখানো হয়েছিলো এক শহর থেকে আরেক শহরে ‘হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপন’ করানোর এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।
গত শুক্রবার সেই ঘটনাকেই যেনো বাস্তব জীবনে সত্যায়িত করেছেন মুম্বাই ফোর্টিস হাসপাতাল ও আওরোঙ্গবাদ এমজিএম হাসপাতালের একদল ডাক্তার। তবে, ঘটনার অনুঘটক প্রতিটি ব্যক্তিই যেনো বাস্তব জীবনের ‘নায়ক’ হয়েই কালজয়ী এ ঘটনার অংশ হয়ে থাকবেন।
মুম্বাইয়ের ফোর্টিস হাসপাতালে মালান্ড নামের ৪ বছরের এক কন্যা শিশু হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপন করতে অন্য কারও হৃদপিন্ডের অপেক্ষায় ছিলো। খবর পাওয়া যায় আওরোঙ্গবাদে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হলেও তার হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপনযোগ্য ছিলো।
কিন্তু খুব দ্রুত প্রতিস্থাপিত না হলে এটা অকেজো হয়ে যাবে! দুই হাসপাতালের মধ্যবর্তী দূরত্ব প্রায় ৩২৩ কিলোমিটার!
কোনো রকম কালক্ষেপণ না করে শুক্রবার দুপুর ১:৫০ মিনিটে আওরোঙ্গবাদ এমজিএম হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হৃদপিন্ডটি প্যাকিং করে পাঠানো হয়। মাত্র ৪ মিনিটে ৪.৮কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে আওরোঙ্গবাদ এয়ারপোর্টে বিমানযোগে মুম্বাই পাঠানো হয় হৃদপিন্ডটি।
দুপুর ৩:০৫ মিনিটে মুম্বাই এয়ারপোর্ট থেকে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মাত্র ১৯ মিনিটে ১৮কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ফোর্টিস হাসপাতালে পৌঁছানো হয় হৃদপিন্ডটি। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের রাস্তায় সমস্ত সিগনালে সবুজ সংকেত দেখিয়ে সহযোগিতা করে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশ।
অবশেষে সফলভাবে প্রতিস্থাপনটি সম্পন্ন হয়েছে। সিনেমা কখনোই জীবনের বাইরে নয় _এ যেনো তারই এক নজীর!