’৪৭-এ ছিল ভিক্ষার স্বাধীনতা, বিজেপি ভারতকে দিয়েছে আসল স্বাধীনতা’
সম্প্রতি এক সামিটে এমন মন্তব্য করেন কঙ্গনা
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২১, ০৮:১৪ পিএমআপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, ০৮:১৪ পিএম
তিনদিন আগেই ভারতের ৪র্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সেই রেষ না কাটতেই বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে ফের বিতর্কে জড়ালেন নিজেকে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিভিওতে দেখা যায়, সম্প্রতি এক সামিটে হাজির হয়েছিলেন কঙ্গনা। সেখানে এই অভিনেত্রী মন্তব্য করেন, ভারত আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে যে স্বাধীনতা এসেছিল সেটা আসলে “ভিক্ষা”।
এই মন্তব্যের জেরে ভারতের আম আদমি পার্টির নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন কঙ্গনার নামে মুম্বাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। উস্কানিমূলক ও দেশবিরোধী মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা, এমন অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫, এবং ১২৪এ ধারায় মামলা রুজু করবার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন প্রীতি শর্মা মেনন।
এর আগে, বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধীও কঙ্গনার মন্তব্যের নিন্দা জানান। তিনি টুইটারে লেখেন "এটি দেশবিরোধী বক্তব্য এবং আমাদের অবশ্যই এর প্রতিবাদ করা উচিত। না হলে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে পারি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের অসীম আত্মত্যাগ, লাখ লাখ প্রাণ হারানোর বেদনা ভুলবার নয়। এই ‘নির্লজ্জ বক্তব্য’কে অসতর্কতা হিসেবে ক্ষমা করা যায় না।”
কঙ্গনা রানাউতের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে স্থগিত থাকায় তিনি ইনস্টাগ্রামে বরুণ গান্ধীর মন্তব্যের জবাব দেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “আমি স্পষ্টভাবে ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছি যা বন্ধ করা হয়েছিল... যার ফলে ব্রিটিশদের কাছ থেকে আরও নৃশংসতা ও নিষ্ঠুরতা এসেছিল, এবং প্রায় এক শতাব্দী পরে (মিস্টার) গান্ধীর হাতে ভিক্ষার বাটি হিসেবে আমাদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল।”
’৪৭-এ ছিল ভিক্ষার স্বাধীনতা, বিজেপি ভারতকে দিয়েছে আসল স্বাধীনতা’
সম্প্রতি এক সামিটে এমন মন্তব্য করেন কঙ্গনা
তিনদিন আগেই ভারতের ৪র্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সেই রেষ না কাটতেই বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে ফের বিতর্কে জড়ালেন নিজেকে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিভিওতে দেখা যায়, সম্প্রতি এক সামিটে হাজির হয়েছিলেন কঙ্গনা। সেখানে এই অভিনেত্রী মন্তব্য করেন, ভারত আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে যে স্বাধীনতা এসেছিল সেটা আসলে “ভিক্ষা”।
কঙ্গনার ওই বিতর্কিত মন্তব্যে ছেয়ে গেছে টুইটার-ফেসবুক। নেটিজেনরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কঙ্গনার মানসিকতার।
এই মন্তব্যের জেরে ভারতের আম আদমি পার্টির নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন কঙ্গনার নামে মুম্বাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। উস্কানিমূলক ও দেশবিরোধী মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা, এমন অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫, এবং ১২৪এ ধারায় মামলা রুজু করবার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন প্রীতি শর্মা মেনন।
এর আগে, বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধীও কঙ্গনার মন্তব্যের নিন্দা জানান। তিনি টুইটারে লেখেন "এটি দেশবিরোধী বক্তব্য এবং আমাদের অবশ্যই এর প্রতিবাদ করা উচিত। না হলে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে পারি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের অসীম আত্মত্যাগ, লাখ লাখ প্রাণ হারানোর বেদনা ভুলবার নয়। এই ‘নির্লজ্জ বক্তব্য’কে অসতর্কতা হিসেবে ক্ষমা করা যায় না।”
কঙ্গনা রানাউতের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে স্থগিত থাকায় তিনি ইনস্টাগ্রামে বরুণ গান্ধীর মন্তব্যের জবাব দেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “আমি স্পষ্টভাবে ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছি যা বন্ধ করা হয়েছিল... যার ফলে ব্রিটিশদের কাছ থেকে আরও নৃশংসতা ও নিষ্ঠুরতা এসেছিল, এবং প্রায় এক শতাব্দী পরে (মিস্টার) গান্ধীর হাতে ভিক্ষার বাটি হিসেবে আমাদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল।”