বলিউডে যাত্রা সহজ ছিল না ‘রাজু’ ডাকনামের রাজকুমার হিরানির। প্রাণ, মন দিয়ে সিনেমাই বানাতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু মাত্র কয়েকটি পরিবারশাসিত বলিপাড়ায় কে সুযোগ দেবে রাজুকে
হাসান শাওন
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০৮:১৯ পিএমআপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০৮:১৯ পিএম
‘‘মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস’’, ‘‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’’, ‘‘থ্রি ইডিয়টস’’, ‘‘পিকে’’, ‘‘সাঞ্জু’’ এই মাত্র পাঁচটি ছবি বানিয়েছেন তিনি। সংখ্যা দিয়ে নয়, সৃষ্টি গুণেই তা হয়েছে জনতার। বলিউড কাঁপানো এ প্রতিভার নাম রাজকুমার হিরানি।
১৯৬২ সালের এই দিনে তিনি ভারতের নাগপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। শুভ জন্মদিন, রাজকুমার হিরানি!
হৃদয় ভাঙা অখণ্ড ভারতবর্ষ টুকরো হওয়ার আগে তার পূর্বপুরুষ থাকতেন পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে। নাগপুরের সেইন্ট ফ্রান্সিস ডি’সেইলস স্কুলে পাঠজীবন শুরু হিরানির। তিনি বাণিজ্য বিষয়ে ডিগ্রিধারী স্নাতক। শৈশব থেকেই চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটকের প্রতি ছিল তার তীব্র ঝোঁক। যুক্ত ছিলেন থিয়েটারে। পরিবার অবশ্য চাইছিল ছেলে হোক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট। কিন্তু স্বকীয় হিরানি চলেছেন ভিন্ন পথে। কলেজে পড়ার সময় থেকে তিনি মঞ্চনাটক নিয়ে একাগ্র।
এ হয়ত ছিল তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাবের গ্রুমিং সেশন। বাবা সুরেশ হিরানি উপায়ন্তর না দেখে ছেলেকে অভিনয় নিয়ে পড়তে বোম্বে পাঠিয়ে দেন। তিনি সেখানে মন বসেনি ছেলের। তিন দিন পর হিরানি ফিরে আসেন জন্মভূমি নাগপুরে। বাবা তো বিপাকে। পরে ছেলেকে পুনের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে পড়তে পাঠান অভিনয় নিয়ে। সেখানে অন্য এক কারণে ভর্তি হতে পারেন না হিরানি। পরে অবশ্য চলচ্চিত্র সম্পাদনার ওপর পড়াশোনা করেন তিনি। শেখায় সাফল্যে অর্জন করেন স্কলারশিপও।
রাজকুমার হিরানিকে চলচ্চিত্র জগতের এক সব্যসাচী বলা যায়। তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, নির্মাতা, সম্পাদক, প্রযোজক, পরিবেশক। অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ঝুলিতে আছে এগারোটি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। এখন তিনি রাজকুমার হিরানি ফিল্মসের কর্ণধার।
বলিউডে যাত্রা সহজ ছিল না ‘‘রাজু’’ ডাকনামের রাজকুমার হিরানির। প্রাণ, মন দিয়ে সিনেমাই বানাতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু মাত্র কয়েকটি পরিবারশাসিত বলিপাড়ায় কে সুযোগ দেবে রাজুকে? জীবিকা নির্বাহে বাধ্য হয়ে কাজ করেন বিজ্ঞাপন ও টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে। এক পর্যায়ে তার সাথে পরিচয় ঘটে লেজেন্ড ভিদু ভিনোদ চোপড়ার। কাজ করতে থাকেন তার সঙ্গে।
চলচ্চিত্র সম্পাদক হিসেবে রাজকুমার হিরানির প্রথম অভিষেক ২০০০ সালে ভিদু চোপড়ার ছবিতেই। অনেকের মনে রাখা সে হিট ছবিটির নাম ‘‘মিশন কাশ্মির’’।
সুতীব্র কোনো চেষ্টাই বৃথা যায় না। ২০০৩ সালে আসে রাজুর ক্ষণ। ‘‘মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস’’ দিয়ে নির্মাতা হিসেবে বলিউডে যাত্রা রাজকুমার হিরানির। ‘‘কমেডি’’ জনরায় গ্রাহ্য হলেও এ ছবির বার্তা খুব পরিস্কার। উচ্চ ডিগ্রিধারী ব্যক্তি না মানবিক গুণ সম্পন্ন মানুষ?
ডাক্তারের কাজ কি শুধু ওষুধ লেখা না হৃদয় দিয়ে রোগীর মন জয়? কার বেশি প্রয়োজন সমাজে? কমেডির রূপকে এর উত্তর প্রথম ছবিতেই স্পষ্ট করেন হিরানি। শুরুতেই ছবিতেই বলিউড টের পায় এমন একজনের আগমন, যিনি তেতো ওষুধের ওপর মিষ্টির প্রলেপ দিয়ে খাওয়াতে সক্ষম বিপুল জনগোষ্ঠীকে। প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন রুপি ব্যবসা করে এ ছবি। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন হিরানি। ‘‘বেস্ট পপুলার ফিল্ম’’ হিসেবে পুরস্কার জেতে এ ছবি। শুরু হয় ‘‘মুন্না ভাই’’ ফ্যাঞ্চাইজির যাত্রা।
২০০৬ সালে ‘‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’’ নির্মাণ করেন রাজকুমার হিরানি। বক্স অফিসে তোলপাড় ঘটায় এ ছবিও। ব্যবসা করে প্রায় ১.২ মিলিয়ন রুপি। আগের মতোন এবারও এ ছবির জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জেতেন এ নির্মাতা।
২০০৯ সালের ‘‘থ্রি ইডিয়টস’’ অন্য মাত্রায় নিয়ে যায় ভারতীয় চলচ্চিত্রকে। এও সে ‘‘হিরানি ধারা’’র কমেডি ছবি। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে ‘‘অল ইজ ওয়েল’’ সুবার্তা পৌঁছে যায় দিকে দিকে। বিশ্বজুড়ে ছবিটি আয় করে প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছবির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত সকল চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন রাজকুমার হিরানি।
ধীমান রাজকুমার হিরানি একটু যেন বিরতি নেন এরপর। আরো ব্যাপক মাত্রায় কিছু হয়তো বলার ছিল তার। এ জন্যই কি অপেক্ষা?
২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পায় তার পরিচালিত ছবি ‘‘পিকে’’। মানুষে মানুষে ভেদ, রক্তপাতের ব্যর্থ প্রথা শিশু সুলভ ভিন্নগ্রহবাসীর প্রশ্নে বিদ্ধ হয় হিরানির ছবিতে। ২০১৮ সালে ‘‘সাঞ্জু’’ ছবি মুক্তি দেন হিরানি। বলিউডের জীবিত স্বত্তা সঞ্জয় দত্তের জীবনী অবলম্বনের এ ছবি আলোচিত ও সমালোচিত হয়। একই সঙ্গে করে তুমুল মুনাফা। প্রায় ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবসা করে এ ছবি। হিরানি এখন কাজ করছেন ‘‘পাঠান’’ ছবি নিয়ে। এর প্রধান চরিত্র বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। আবারও যেন একটি হিরানি ঝড়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চলচ্চিত্র জগত।
রাজকুমার হিরানি বলে থাকেন, বক্তব্যধর্মী ছবিতে কিছু নেই। আমি চাই দর্শককে আনন্দ দিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে একাকী মানুষ মনে করেন তিনি একজন চরিত্র নির্মাণকারী চিত্রনাট্যকারকে। নিজের ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ছবিতে দুঃখ দেখানোর পক্ষে নই। আমার ছবিতে দেখাই আমি আশা আর সম্ভাবনা।
এভাবেই বলিপাড়ার ভেতর তুমুল ব্যবসার রঙিন জগতের মধ্যে থেকে নিজের একটি বিশেষ জনরা সৃষ্টি করেছেন রাজকুমার হিরানি। সমালোচকরা যাকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না। বক্স অফিস সাক্ষ্য দেয় তার জননন্দিত সৃষ্টি। চলচ্চিত্রের সীমাহীন শক্তি ধারণ করে রাজকুমার হিরানির চলচ্চিত্র যাত্রা চলুক বিরামহীন, এমন কামনাই তার আবির্ভাবের শুভ দিনে কাম্য।
ফ্রিল্যান্স লেখক ও সাংবাদিক হাসান শাওনের জন্ম, বেড়ে ওঠা রাজধানীর মিরপুরে। পড়াশোনা করেছেন মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বাঙলা কলেজ, বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনিস্টিটিউটে। ২০০৫ সাল থেকে তিনি লেখালেখি ও সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। কাজ করেছেন সমকাল, বণিক বার্তা, ক্যানভাস ম্যাগাজিন ও আজকের পত্রিকায়।
২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর হাসান শাওনের প্রথম বই “হুমায়ূনকে নিয়ে” প্রকাশিত হয়।
যে হিরানি জনতার
বলিউডে যাত্রা সহজ ছিল না ‘রাজু’ ডাকনামের রাজকুমার হিরানির। প্রাণ, মন দিয়ে সিনেমাই বানাতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু মাত্র কয়েকটি পরিবারশাসিত বলিপাড়ায় কে সুযোগ দেবে রাজুকে
‘‘মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস’’, ‘‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’’, ‘‘থ্রি ইডিয়টস’’, ‘‘পিকে’’, ‘‘সাঞ্জু’’ এই মাত্র পাঁচটি ছবি বানিয়েছেন তিনি। সংখ্যা দিয়ে নয়, সৃষ্টি গুণেই তা হয়েছে জনতার। বলিউড কাঁপানো এ প্রতিভার নাম রাজকুমার হিরানি।
১৯৬২ সালের এই দিনে তিনি ভারতের নাগপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। শুভ জন্মদিন, রাজকুমার হিরানি!
হৃদয় ভাঙা অখণ্ড ভারতবর্ষ টুকরো হওয়ার আগে তার পূর্বপুরুষ থাকতেন পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে। নাগপুরের সেইন্ট ফ্রান্সিস ডি’সেইলস স্কুলে পাঠজীবন শুরু হিরানির। তিনি বাণিজ্য বিষয়ে ডিগ্রিধারী স্নাতক। শৈশব থেকেই চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটকের প্রতি ছিল তার তীব্র ঝোঁক। যুক্ত ছিলেন থিয়েটারে। পরিবার অবশ্য চাইছিল ছেলে হোক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট। কিন্তু স্বকীয় হিরানি চলেছেন ভিন্ন পথে। কলেজে পড়ার সময় থেকে তিনি মঞ্চনাটক নিয়ে একাগ্র।
এ হয়ত ছিল তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাবের গ্রুমিং সেশন। বাবা সুরেশ হিরানি উপায়ন্তর না দেখে ছেলেকে অভিনয় নিয়ে পড়তে বোম্বে পাঠিয়ে দেন। তিনি সেখানে মন বসেনি ছেলের। তিন দিন পর হিরানি ফিরে আসেন জন্মভূমি নাগপুরে। বাবা তো বিপাকে। পরে ছেলেকে পুনের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে পড়তে পাঠান অভিনয় নিয়ে। সেখানে অন্য এক কারণে ভর্তি হতে পারেন না হিরানি। পরে অবশ্য চলচ্চিত্র সম্পাদনার ওপর পড়াশোনা করেন তিনি। শেখায় সাফল্যে অর্জন করেন স্কলারশিপও।
রাজকুমার হিরানিকে চলচ্চিত্র জগতের এক সব্যসাচী বলা যায়। তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, নির্মাতা, সম্পাদক, প্রযোজক, পরিবেশক। অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ঝুলিতে আছে এগারোটি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। এখন তিনি রাজকুমার হিরানি ফিল্মসের কর্ণধার।
বলিউডে যাত্রা সহজ ছিল না ‘‘রাজু’’ ডাকনামের রাজকুমার হিরানির। প্রাণ, মন দিয়ে সিনেমাই বানাতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু মাত্র কয়েকটি পরিবারশাসিত বলিপাড়ায় কে সুযোগ দেবে রাজুকে? জীবিকা নির্বাহে বাধ্য হয়ে কাজ করেন বিজ্ঞাপন ও টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে। এক পর্যায়ে তার সাথে পরিচয় ঘটে লেজেন্ড ভিদু ভিনোদ চোপড়ার। কাজ করতে থাকেন তার সঙ্গে।
চলচ্চিত্র সম্পাদক হিসেবে রাজকুমার হিরানির প্রথম অভিষেক ২০০০ সালে ভিদু চোপড়ার ছবিতেই। অনেকের মনে রাখা সে হিট ছবিটির নাম ‘‘মিশন কাশ্মির’’।
সুতীব্র কোনো চেষ্টাই বৃথা যায় না। ২০০৩ সালে আসে রাজুর ক্ষণ। ‘‘মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস’’ দিয়ে নির্মাতা হিসেবে বলিউডে যাত্রা রাজকুমার হিরানির। ‘‘কমেডি’’ জনরায় গ্রাহ্য হলেও এ ছবির বার্তা খুব পরিস্কার। উচ্চ ডিগ্রিধারী ব্যক্তি না মানবিক গুণ সম্পন্ন মানুষ?
ডাক্তারের কাজ কি শুধু ওষুধ লেখা না হৃদয় দিয়ে রোগীর মন জয়? কার বেশি প্রয়োজন সমাজে? কমেডির রূপকে এর উত্তর প্রথম ছবিতেই স্পষ্ট করেন হিরানি। শুরুতেই ছবিতেই বলিউড টের পায় এমন একজনের আগমন, যিনি তেতো ওষুধের ওপর মিষ্টির প্রলেপ দিয়ে খাওয়াতে সক্ষম বিপুল জনগোষ্ঠীকে। প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন রুপি ব্যবসা করে এ ছবি। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন হিরানি। ‘‘বেস্ট পপুলার ফিল্ম’’ হিসেবে পুরস্কার জেতে এ ছবি। শুরু হয় ‘‘মুন্না ভাই’’ ফ্যাঞ্চাইজির যাত্রা।
২০০৬ সালে ‘‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’’ নির্মাণ করেন রাজকুমার হিরানি। বক্স অফিসে তোলপাড় ঘটায় এ ছবিও। ব্যবসা করে প্রায় ১.২ মিলিয়ন রুপি। আগের মতোন এবারও এ ছবির জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জেতেন এ নির্মাতা।
২০০৯ সালের ‘‘থ্রি ইডিয়টস’’ অন্য মাত্রায় নিয়ে যায় ভারতীয় চলচ্চিত্রকে। এও সে ‘‘হিরানি ধারা’’র কমেডি ছবি। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে ‘‘অল ইজ ওয়েল’’ সুবার্তা পৌঁছে যায় দিকে দিকে। বিশ্বজুড়ে ছবিটি আয় করে প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছবির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত সকল চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন রাজকুমার হিরানি।
ধীমান রাজকুমার হিরানি একটু যেন বিরতি নেন এরপর। আরো ব্যাপক মাত্রায় কিছু হয়তো বলার ছিল তার। এ জন্যই কি অপেক্ষা?
২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পায় তার পরিচালিত ছবি ‘‘পিকে’’। মানুষে মানুষে ভেদ, রক্তপাতের ব্যর্থ প্রথা শিশু সুলভ ভিন্নগ্রহবাসীর প্রশ্নে বিদ্ধ হয় হিরানির ছবিতে। ২০১৮ সালে ‘‘সাঞ্জু’’ ছবি মুক্তি দেন হিরানি। বলিউডের জীবিত স্বত্তা সঞ্জয় দত্তের জীবনী অবলম্বনের এ ছবি আলোচিত ও সমালোচিত হয়। একই সঙ্গে করে তুমুল মুনাফা। প্রায় ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবসা করে এ ছবি। হিরানি এখন কাজ করছেন ‘‘পাঠান’’ ছবি নিয়ে। এর প্রধান চরিত্র বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। আবারও যেন একটি হিরানি ঝড়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চলচ্চিত্র জগত।
রাজকুমার হিরানি বলে থাকেন, বক্তব্যধর্মী ছবিতে কিছু নেই। আমি চাই দর্শককে আনন্দ দিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে একাকী মানুষ মনে করেন তিনি একজন চরিত্র নির্মাণকারী চিত্রনাট্যকারকে। নিজের ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ছবিতে দুঃখ দেখানোর পক্ষে নই। আমার ছবিতে দেখাই আমি আশা আর সম্ভাবনা।
এভাবেই বলিপাড়ার ভেতর তুমুল ব্যবসার রঙিন জগতের মধ্যে থেকে নিজের একটি বিশেষ জনরা সৃষ্টি করেছেন রাজকুমার হিরানি। সমালোচকরা যাকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না। বক্স অফিস সাক্ষ্য দেয় তার জননন্দিত সৃষ্টি। চলচ্চিত্রের সীমাহীন শক্তি ধারণ করে রাজকুমার হিরানির চলচ্চিত্র যাত্রা চলুক বিরামহীন, এমন কামনাই তার আবির্ভাবের শুভ দিনে কাম্য।
ফ্রিল্যান্স লেখক ও সাংবাদিক হাসান শাওনের জন্ম, বেড়ে ওঠা রাজধানীর মিরপুরে। পড়াশোনা করেছেন মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বাঙলা কলেজ, বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনিস্টিটিউটে। ২০০৫ সাল থেকে তিনি লেখালেখি ও সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। কাজ করেছেন সমকাল, বণিক বার্তা, ক্যানভাস ম্যাগাজিন ও আজকের পত্রিকায়।
২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর হাসান শাওনের প্রথম বই “হুমায়ূনকে নিয়ে” প্রকাশিত হয়।