ঢাকাই শোবিজ যেন ব্যক্তিগত জীবনের আলোচনা নিয়েই ভরপুর। এই ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ তারকাজুটির ব্যক্তিগত জীবন নানা রঙঢঙে টইটুম্বুর। ওমর সানি-মৌসুমী, শাকিব-অপু-বুবলী, শিহাস শাহিন-জাকিয়া বারী মম থেকে শুরু করে শরিফুল রাজ-পরীমণি- সবারই ঘরের কথা চায়ের দোকানেরও তুমুল আড্ডার বিষয়।
গত প্রায় দুই বছর ধরে রাজ-পরী জুটির ব্যক্তিগত জীবনই বেশি শিরোনাম হয়েছে। তাদের সম্পর্কের ভেতর এই রোদ তো এই মেঘলা আকাশ। ভাঙতে ভাঙতে ভাঙন ঠেকানোর গল্প এবার আর প্রতিধ্বনিত হয়নি। সত্যি সত্যি আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। অবশ্য তারা না, পরীমণির-ই এই সিদ্ধান্ত। গত রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শরিফুল রাজকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন পরীমণি।
পরীমণির পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর পাঁচ দিন পর শুক্রবার এ বিষয়ে কথা বললেন রাজ। বললেন, “আমার প্রাক্তনের পাঠানো চিঠি হাতে পেয়েছি।” না। এখানেই থামেননি। বরং পরীর এই চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্তকে “সম্মান” জানালেন। বললেন, “আলহামদুলিল্লাহ... তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।”
রাজ বললেন, “তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে আমার জীবনের সেরা অর্জন রাজ্যকে উপহার দেওয়ার জন্য। রাজ্যের জন্য যা কিছু ভালো, বাবা হিসাবে আজীবন তা করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
যদিও রাজের এমন সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই পরীমণি জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে রাজ্যর সকল দায়-দায়িত্ব-খরচ মা হিসেবে একাই বহন করবেন তিনি। যেখানে তিনি আর কোনো অংশীদারত্ব চান না। তেমন সিদ্ধান্তের একদিন পর রাজের এমন আলাপ কতোটা আবেগ ছড়াবে পরীর মনে, সেটা বলা মুশকিল।
ফাঁকে শরিফুল রাজ তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে একটা অনুরোধও রেখেছেন। বলেছেন, “আমার বাচ্চার মায়ের অসম্মান হয় এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকবেন আশা করি। একই সঙ্গে আগামীতে আমার ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার থাকবে, সেই চেষ্টায় আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি।”
মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন রাজ-পরী। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। গত বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে আসে পুত্র শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।