বাংলাদেশি নির্মাতা তাজু কামরুলের পরিচালনায় “ছায়াবাজ” নামের একটি সিনেমার শুটিং করতে ঢাকায় এসেছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিনেমার সায়ন্তিকার বিপরীতে আছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক জায়েদ খান।
তবে, শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি আর আলোর মুখ দেখবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কক্সবাজারে গত ২৯ আগস্ট শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং। মাত্র ৮ দিন শুটিংয়ে অংশ নিয়েই কলকাতায় ফিরে গেছেন সায়ন্তিকা। সিনেমাটির নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবু ও প্রযোজক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন এই অভিনেত্রী। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জায়েদ খানও।
এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, সায়ন্তিকাকে নিয়ে আর কাজ করবেন না। যদি সিনেমাটা শেষ পর্যন্ত করেন তবে বাংলাদেশি কোনো অভিনেত্রীকে নিয়ে করবেন।
প্রযোজক মনিরুল বলেন, “আমার দেশের শিল্পীকে অপমান করবে, সেটা আমি একজন সিনেমার মানুষ হয়ে মেনে নেব না। কারণ, আমার দেশকে অন্য দেশের মানুষ এসে ছোট করতে পারেন না। আজ মাইকেলকে অপমান করেছে, কাল পরিচালকের সঙ্গে করত, আরেক দিন হয়তো ইউনিটের অন্য কারোর সঙ্গে করত। সেটি হতে দেব না। এর সমাধান না হলে কাজ আর করব না। যা ক্ষতি হয় হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই গল্প নিয়ে সিনেমা করার কথা ছিল না। এই গল্প নিয়ে একটি ওয়েব ফিল্ম বানানোর কথা ছিল। কিন্তু জায়েদ খানের অনুরোধে এই সিনেমা শুরু করা। তা না হলে আমি করতাম না। অথচ জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে ফাঁসিয়ে দিল আমাকে। কী আর করার, সব বিচার ওপরওয়ালার ওপর ছেড়ে দিলাম।”
এদিকে জায়েদ খানও প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি বলেছেন, “এই শুটিং এতটাই অব্যবস্থাপনা ছিল যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া, খাবারের বিলও আমি দিয়েছি। ১ লাখ ৩০ হাজার হোটেল বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল দিয়ে চলে গেছে। বাকি টাকা আমি দিয়েছি। প্রযোজক প্রতিনিয়তই মিথ্যাচার করছেন। তার কথা-কাজে মিল নেই।”
প্রযোজকের কথা, “এই ছবির কাজ আর করব না। যদি করিও, সব বাদ দিয়ে এ দেশের শিল্পী নিয়ে নতুন করে এই ছবির কাজ শুরু করব।”