Thursday, March 20, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

অসুখ বা বিপদ না এলে আসল শুভাকাঙ্ক্ষী চিনবেন না, পরীমণির উপলব্ধি

ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যমে নিজের অনুভূতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেছেন এ চিত্রনায়িকা

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম

মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় দীর্ঘদিন শুটিং থেকে দূরে ছিলেন পরীমণি। “ডোডোর গল্প” সিনেমা দিয়ে প্রায় দুই বছর পর আবার ক্যামেরার সামনে ফিরেছেন এ চিত্রনায়িকা। তবে শুটিংয়ে পরীমণির প্রত্যাবর্তন পুরোপুরি সুখকর হয়নি।

শুটিংয়ের সময় কিছুটা অসুস্থ হলেও পাত্তা না দিয়ে পরীমণি শুটিং চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত শরীর আর সায় না দিলে এ অভিনেত্রীকে হাসপাতালে যেতে হয়। জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশির পাশাপাশি রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ায় চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

সে কারণে পরীমণি কিছুদিন ধরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবন নিয়ে পরীমণির কিছু উপলব্ধি হয়েছে। ক্ষোভের সঙ্গে সেই অনুভূতি তিনি তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ছেলেকে বুকে নিয়ে সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করেন পরিমণি। সেখানে ক্যাপশনে পরীমণি বলেন, “সুস্থ থাকার মতো বড় নেয়ামত আর কিছু নেই সত্যিই! তবে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো অসুখ বা বিপদ না এলে জীবনের আসল শুভাকাঙ্ক্ষী বা কাছের মানুষ চিনতে পারবেন না।”

ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “একটা সময় অনেকের মতো আমারও মনে হতো কারোর কাছে আমার কোনো প্রত্যাশা নেই বা সেটা রাখার দরকারও নেই। প্রত্যাশা যত কম, জীবন তত সুন্দর। বিশ্বাস করুন, এটা একটা বেহুদা কথা। নিজের আত্মীয়স্বজনদের আপনি নিশ্চয়ই আপনার খারাপ সময়ে পাশে চাইবেন। অন্তত কেমন আছো জিজ্ঞেস করুক, কখনো কখনো জীবনে এটুকুই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু।”

নিজের বর্তমান অবস্থান নিয়ে এ চিত্রনায়িকা বলেন, “আমি মোটেও স্বার্থপর ধরনের মানুষ না। তবে গত দুই-এক বছর ধরে আমি যে যেমন আমি তেমন লোক হওয়ার চেষ্টা করছি। এ চেষ্টায় এবারের দৌড়টা বেশ লম্বাই হলো বলা যায়। নিজের অবস্থান নিয়ে জীবনে আজাইরা, ফাও এবং সুবিধাবাদীদের যত ঝেড়ে ফেলা যায়, জীবন কেবল তখনই সুন্দর।”

যদিও কাদের দিকে এমন ইঙ্গিত, সেটা স্পষ্ট করেননি পরীমণি। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে তিনি বলেন, “তাদের নামটা এখনই বলতে চাইছি না। তবে আমার চেনার দরকার ছিল, চিনেছি। এই চেনাটা আমার আগামী জীবনে কাজে দেবে। আমি সুন্দরভাবে কাজ করতে চাই। আমার প্রতি যাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা রয়েছে, সুন্দর সব কাজ দিয়ে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। ওদের জন্যই আমি মন দিয়ে কাজ করে যেতে চাই। ফাও কোনো মানুষ আর আমার কাছে কোনো জায়গা পাবে না। কোনোভাবেই না।”

স্বার্থপর মানুষদের এক হাত নিলেও অনেকের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন পরীমণি। এ চিত্রনায়িকা বলেন, “আমি আমার স্টাফদের যত্ন,ভালোবাসা,আন্তরিকতার কাছে ঋনী। এরাই আমার পরিবার।

তবে জীবন যেমনই চলুক, ছেলের মধ্যেই যেকোনো অসুসস্থতার প্রতিষেধক খুঁজছেন পরীমণি। নিজের ফেসবুক পোস্টের সবশেষে ঢাকাই সিনেমার এ অভিনেত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকটা ভালোই কাজ করছে মনে হচ্ছে! যাহোক, মা-ছেলের এই ছবি দুইটা কেমন একটা শান্তি শান্তি দেয় না চোখে?”

   

About

Popular Links

x