বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের আগ্রহ বরাবরই একটু বেশি। আগামী ১৯ এপ্রিল সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, বিভিন্ন প্যানেল নিয়ে মানুষের আগ্রহ তত বাড়ছে। ইতোমধ্যে এই আলোচনা উসকে দিয়েছে শিল্পী সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা। এর পাশাপাশি আলোচনা চলছে ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে নিয়েও।
গুঞ্জন রয়েছে আসন্ন নির্বাচনে চিত্রনায়িকা নিপুণের প্যানেলে শাকিব খানকে আনার চেষ্টা চলছে। আর এই গুঞ্জন আরও জোড়ালো হয়েছে চিত্রনায়ক অমিত হাসানের একটি বক্তব্যকে ঘিরে।
শনিবার (২ মার্চ) ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজন ও বার্ষিক সাধারণ সভা। বনভোজনের অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে অমিত হাসান জানান, তিনি নিজেও এবার নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন। পাশাপাশি শাকিব খানকেও এই প্যানেলে আনার চেষ্টা চলছে।
এর আগে ২০১১ থেকে টানা তিনবার শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাকিব খান। ২০১৫-২০১৬ মেয়াদে শাকিব খান সভাপতি নির্বাচিত হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে তার প্যানেলের মিশা সওদাগর হেরে যান। ওই মেয়াদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন অমিত হাসান।
অমিত হাসান বলেন, “আমি নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচন করছি। তবে, কোন পদে নির্বাচন করব এটা আমার ফাইনাল করা হয়নি। আশা করছি তিন থেকে চারদিনের মধ্যে আমি ঘোষণাটা দিয়ে দেব।”
শাকিবকে প্যানেলে আনার চেষ্টা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সুন্দর একটি প্যানেল করার চেষ্টা করছি। আমরা শাকিবকে আনার চেষ্টা করছি। সবকিছু মিলিয়ে কী হয় আপনারা জানতে পারবেন। আমি যখন নির্বাচন করেছিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মিশার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিলাম।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে নানা নাটকীয়তার পর জায়েদ খানকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ওই মেয়াদে নিপুণের প্যানেলে থেকে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। জায়েদ খানের প্যানেলে সভাপতি পদে ছিলেন মিশা সওদাগর।
এবার ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই, নিজের প্যানেলে সভাপতি হিসেবে অন্য কাউকে টানার চেষ্টা করছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত শাকিব খানকে আনার চেষ্টা সফল হলে কিং খানকেই দেখা যেতে পারে সভাপতি পদে।
অন্যদিকে, সদস্যপদ বাতিল হওয়ায় জায়েদ খানের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। গতবার তার প্যানেলে থাকা মিশা সওদাগর এবার আলাদা প্যানেলে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ওই প্যানেলের নেতৃত্বে থাকছেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর। তবে কে কোন পদের জন্য লড়বেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।