মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী ম্যাডোনা যে ৬৫ বছর বয়সেও তার তারুণ্যের মতোই সমান জনপ্রিয় সেটিই প্রমাণ হয়ে গেল ব্রাজিলের বিখ্যাত কোপাকাবানা সৈকতে।
শনিবার (৪ মে) স্থানীয় সময় রাতে কোপাকাবানা সৈকতে উঠেছিল রীতিমতো ম্যাডানো ঝড়। আর সেই ঝড়ের সাক্ষী হয়ে রইল প্রায় ১৬ লাখ মানুষ।
সঙ্গীতে পপ আইডল ম্যাডোনার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছর অক্টোবরে লন্ডন থেকে শুরু হয় সেলিব্রেশন ট্যুর কনসার্ট। শনিবার রিও ডি জেনিরোতে কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে আয়োজন করা হয় এই ট্যুরের শেষ কনসার্ট। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি দেখতে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ হাজির হয়েছিলেন। যা একক শিল্পীর কনসার্টে দর্শক উপস্থিতির দিক থেকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় কনসার্ট বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পারফরম্যান্স শুরুতে ম্যাডোনা দর্শকদের উদ্দেশ করে বলেন, “রিও, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় আছি।”
স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কোপাকাবানা প্যালেস হোটেল থেকে বিশেষ এলিভেটেড ব্রিজে মঞ্চে আসেন এ জনপ্রিয় তারকা। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে “নাথিং রিয়েলি ম্যাটার্স”, “লাইক আ প্রেয়ার” ও “ভোগ”-এর মতো কালজয়ী গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন ৬৫ বছর বয়সী ম্যাডোনা। একপর্যায়ে তার সঙ্গে মঞ্চে যোগ দেন ব্রাজিলিয়ান গায়িকা আনিতা।
অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য সমুদ্র সৈকতের পাশে বড় পর্দা স্থাপন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কেউ অ্যাপার্টমেন্ট, হোটেল, নৌকা থেকে ম্যাডোনার গান উপভোগ করেন। পুরো সৈকতে ছিল টি-শার্ট, স্যুভেনিরসহ নানা উপকরণের দোকান। এই কনসার্ট ব্রাজিলের স্থানীয় অর্থনীতিতে ৪০ লাখ ডলারের বেশি অবদান রেখেছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন এ তারকা মঞ্চে ওঠার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই স্পিকারে তার গান বাজানো হয়। এ সময় ম্যাডোনার গানের সঙ্গে ভক্তদের নাচতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানটি নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৩ হাজার ২০০ সেনাসদস্য, প্রস্তুত ছিলেন আরও ১ হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য।
কনসার্টটি উপভোগ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে ম্যাডোনা ভক্তদের ঢল নামে ব্রাজিলে। এজন্য রিও ডি জেনিরোতে ১৭০টি অতিরিক্ত ফ্লাইট নামে বলে জানা গেছে। স্থানীয় হোটেলগুলোও ছিল প্রায় শতভাগ পূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত বছর জুনে নিউ ইয়র্কে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় এই সুপারস্টারকে। ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ম্যাডোনা। তবে সেই ধকল কাটিয়ে পূর্ণ উদ্যমে ফিরে এসেছেন তিনি।
১৯৮৩ সালে পেশাদার গানের দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করেন ম্যাডোনা।