তিন দশকের বেশি সময়ের সঙ্গীত ক্যারিয়ার বাপ্পা মজুমদার। দেশ জুড়ে গান প্রিয় মানুষের কাছে জনপ্রিয়। গানের শুদ্ধতম পথে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ের মানহীন চটুল কনটেন্টে সয়লাব পরিবেশ দেখে হতাশা ও ভয়ের মধ্যে থাকেন তিনি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন কথা জানান তিনি।
বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘‘যাত্রা পথে কানে হেডফোন গুঁজে নানা ধরনের ইন্সট্রুমেন্টাল শোনা আমার একটা বাতিক! কত কত ধারণা তৈরি হয়! কত কত ধরনের সাংগীতিক ভাবনা নিয়ে সারা বিশ্ব কাজ করে যাচ্ছে অনবরত; কী অসাধারণ সব সৃষ্টি! অথচ পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে দিনে দিনে স্থূল আর অগভীর ভাবনার প্রচার-প্রসারের এক বিপুল আয়োজন দেখে খুব হতাশ লাগে; সেই সাথে এক তীব্র ভীতি কাজ করে। কী শিখছে আমাদের সন্তানেরা! প্রচারেই প্রসার (অথবা পসার) আর কুপ্রচারে দ্রুত খ্যাতি? তাই কি?’’
তার মতে, ‘‘আমি দৃঢ়ভাবে নিজেকে একজন আধুনিক এবং বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ বলে মনে করি! সেই সঙ্গে এটাও বিশ্বাস করি, দীর্ঘ চর্চায় অর্জন করা যে কোনো শিল্পকর্মের প্রতিটি আঁচড়ে যে উপলব্ধি, বিশ্বাস, আস্থা আর সর্বোপরি আত্মসম্মানের বোধ তৈরি করে, তা এসব দ্রুত পেয়ে যাওয়া সোশ্যাল মিডিয়ার স্থূল খ্যাতির চেয়ে বহু বহু বহু গুণ বেশি শক্তিশালী! আমার বক্তব্য খুবই সোজা, আমি সোশ্যাল মিডিয়ার বিরোধী নই। কিন্তু এই জাতীয় কুইক ফিক্স আর শর্টকাটের ঘোর বিরোধী! একদম বিরোধী!’’
তিনি বলেন, ‘‘আমার ধারণা, সংগীত নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি অনেকখানি সময় পার করে এসেছি। আমার নিজের কিছু পার্সপেক্টিভ তৈরি হয়েছে। সেই ভাবনাগুলো নিয়ে আমি কিছু ছোট ছোট ভিডিও কনটেন্ট করতে চাই! কিছুই হয়তো না! তবে তাতে করে যদি কারও কোনো উপকার হয়, তাতে তো ক্ষতির কিছু নেই, তাই নয় কি? দিনশেষে সবই ইনফরমেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন নিডস টু বি ট্রান্সফারড। আমি সেই কাজটাই করতে চাই!’’
সম্প্রতি বাপ্পা মজুমদার তার ব্যান্ড ‘‘দলছুট’’ থেকে নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। যেটা ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা, সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর নামে, স্মরণে। অ্যালবামের নাম ‘‘সঞ্জীব’’। এতে ১১টি গান রয়েছে। এগুলো এক এক করে প্রকাশ করা হচ্ছে বাপ্পার ইউটিউব চ্যানেলে।