ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। প্রথমবার তৃণমূলের টিকিট পেয়ে যাদবপুর আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। আর প্রথমবারেই বাজিমাত করেছেন সায়নী। এ আসনে সায়নীর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি। তাকে ২ লাখ ২৪ হাজার ভোটে পরাজিত করেন ৩১ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী।
সায়নীর বিজয় নিয়ে দারুণ আলোচনা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এত বড় ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বিজয়ের পর ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সায়নী। এ আলাপচারিতায় অভিনেত্রী তার প্রয়াত মায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
গত ১৫ জানুয়ারি মারা যান সায়নীর মা সুদীপা ঘোষ। মাকে হারানোর ক্ষত এখনো সেভাবে সেরে উঠেনি। আর আনন্দের দিনে মাকেই তার বেশি মনে পড়ছে। সায়নী ঘোষ বলেন, ‘‘সব মায়ের আশির্বাদ। জানেন, কাল জেতার পর মাকে খুব মনে পড়ছিল। মনে হলো, মা একাই বোধহয় ৫০ হাজার ভোট দিয়ে দিয়েছেন। তাই এই ফলাফল। নইলে, এতটা আশা করিনি!’’
২০১৫ সালে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ তার টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি গ্রাফিক শেয়ার করেছিলেন। এটি শিবলিঙ্গের ছবি ছিল। তাতে দেখা যায়, কন্ডোম পরাচ্ছেন এক নারী। এটি পোস্ট করার ৬ বছর পর জটিলতায় পড়েন অভিনেত্রী। কারণ ২০২১ সালে বিষয়টি নিয়ে সায়নীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ের পর পূজা দিতে ছুটে যান সায়নী। আর তখন পুরোনো সেই ইস্যু সামনে আসে।
এ বিষয়ে সায়নী ঘোষ বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, ভগবান আমায় ক্ষমা করে দিয়েছেন। উনি আশীর্বাদ না করলে এই বয়সে এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। আসলে ঈশ্বরও বোঝেন, কে কোন মানসিকতা নিয়ে তার দরবারে আসেন। তাই কেউ মহাদেবের আশীর্বাদ পান; কেউ বা রামের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত!’’
টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে নাম লেখান সায়নী ঘোষ। তিনি একজন সংগীতশিল্পীও। ২০১০ সালে ‘‘নটবর নট আউট’’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। পরের বছরই রাজ চক্রবর্তীর ‘‘শত্রু’’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান। তবে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘‘কানামাছি’’ সিনেমায় প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।