Friday, April 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

প্রতারণার মামলায় খালাস পেলেন অনন্ত জলিল

ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের খালাসের রায় দেন

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৩ পিএম

প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় আলোচিত চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ (এম এ জলিল) ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ তাদের মামলার দায় থেকে খালাস প্রদান করেন।

বিচারক খালাসের আদেশে বলেন, বাদিপক্ষ মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। মামলাটি প্রত্যাহার করতে চান মর্মে জবানবন্দি প্রদান করেছেন মামলার বাদি। সার্বিক বিবেচনায় মামলাটি ফৌ.কা.বি. ২৪৮ ধারায় প্রত্যাহার পূর্বক আসামীদের খালাস প্রদান করা হলো। ইস্যুকৃত সকল প্রসেস রিকল করা হোক।

অনন্ত জলিল ছাড়া খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন, পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, ফাইন্যান্স পরিচালক মো. শরীফ হোসাইন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাকিবুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মো. মিলন ও বাজেট অ্যান্ড অডিটের হেড অব কস্ট শহিদুল ইসলাম।

জানা গেছে, রবিবার অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদি শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী দুই পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসা হয়েছে বলে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামীগণ বাদি পক্ষকে আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব দিলে বাদি পক্ষ উক্ত আপোষ মীমাংসার প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেন। উক্ত বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসা হয়েছে বিধায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করা একান্ত অবশ্যক।

এর আগে, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাভারের বিরুলিয়ার শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামী করা হয় চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ (এম এ জলিল) ছয়জনকে। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পণ্ডিত দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামীদের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামীরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে ব্যবসায়ী শাফিল নাওয়াজের কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর শাফিল কাজ শুরু করে টাকা চান। অভিযুক্তরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। একই বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদি সবগুলো কাজ আসামীদের বুঝিয়ে দেন।

২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অভিযুক্তরা শাফিলের নামে একটি এলসি করেন। শাফিল টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা ওঠাতে ব্যর্থ হন। শাফিল চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ২৯,২০০ ডলারের কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি।

   

About

Popular Links

x