প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেছেন অভিনেতা। মাস কয়েক আগে নিজের বাড়িতেই আততায়ীর ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। শরীরের ক্ষত সময়ের সঙ্গে শুকিয়ে গেলেও, এখনও হয়তো আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠতে পারেননি সাইফ আলী খান। তবে সাইফের জীবনে আতঙ্কের ঝড় ১৩ বছর আগেও একবার ওঠেছিল। তবে এবারের মতো অবশ্য সেই ঝড়ের সামনে একা বুক পেতে দেননি সাইফ। সঙ্গে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা, কারিশমা কাপুর এবং অমৃতা অরোরা। সেদিন কী ঘটেছিল সেই বিলাসবহুল হোটেলে?
অভিজাত হোটেলে সবাইকে নিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে গিয়েছিলেন সাইফ। বন্ধুরা এক জায়গায় হলে স্বাভাবিক ভাবেই জোরদার গল্পগুজব হয়। মাঝেমাঝে হাসিঠাট্টার মাত্রা বেড়ে যায়। সাইফদের ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছিল। সাইফদের পুরো গ্রুপের এই উচ্চস্বরে আড্ডা দেওয়ায় আপত্তি জানান ইকবাল মীর শর্মা নামে এক ব্যক্তি। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। তিনিও ওই হোটেল খেতে এসেছিলেন। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের।
ওই ব্যক্তির আপত্তি নাকি সহ্য করেননি সাইফ। দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। শেষে রাগ সামলাতে না পেরে আচমকা ওই ব্যক্তির নাকে ঘুষি মারেন সাইফ। মার খেয়ে দমে যাননি ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় সাইফের নামে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। এই মামলা আদালতেও ওঠে। পরে অবশ্য সাইফ এই ঘটনা সম্পর্কে ভিন্ন মত দিয়েছেন। সাইফ জানিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তি নাকি নারীদের সঙ্গে অসম্মানজনক ব্যবহার করেছিলেন। তবে সাইফ যা-ই বলুক, পরে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
সেদিনের ঘটনায় সাক্ষী অমৃতা ও মালাইকাকে এখন ফের আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। ২০১৪ সালের এ ঘটনায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয় সাইফ, শাকিল লাদাখ ও বিলাল আমরোহির বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয় সাইফের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির শ্বশুরকেও হেনস্তা ও মারধর করা হয়েছে।