শীতকালে নিজের ত্বক ঠিক রাখতে আপনাকে অন্যসময়ের থেকে শরীরের প্রতি বেশি যত্নবান হতে হবে। নাহলে শীতের শুষ্কতায় আপনি রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারেন। খাদ্য তালিকায় আনতে হবে পরিবর্তন। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি, আর ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারসহ শাক, মাছ, তিসি, আখরোট ফল হতে পারে আপনার শরীর ও ত্বক ঠিক রাখার উপযুক্ত মাধ্যম।
শীতেও ত্বককে ঠিক রাখতে ও এর জেল্লা ধরে রাখতে বিশেষ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
পানি
ত্বককে আর্দ্র রাখতে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনে কমপক্ষে আট/দশ গ্লাস পানি পান করুন। অতিরিক্ত গরমপানি ব্যবহারে বিরত থাকুন।
অ্যালোভেরা
একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে কেটে ভেতরের শাঁস বের করে ত্বকে লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বকের ফাটা অংশ, জ্বালা-পোড়া কমে যায়। এটি ত্বকের ওপর সুরক্ষার আবরণ তৈরি করে রাখায় ত্বকে দাগ পড়তে পারে না।
নারিকেল তেল
মুখ ও শরীরের পাশাপাশি হাঁটু, পায়ের গোড়ালিরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শীতকালে এগুলো রুক্ষ হয়ে যায়। প্রথমে পা পানিতে জিভিয়ে রাখুন। যখন পা কুচকে যাবে তখন বুঝবেন যথেষ্ট আর্দ্রতা পেয়েছে। শীতকালে নারিকেলের তেল জমে থাকায় জমাট বাধা তেল আদ্র ত্বকে লাগান। কিছুদিন পরেই শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।
পাকাকলা ও মধু
ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পাকাকলা ও মধু ব্লেন্ড করে মুখে এর স্তর করে ২০-২৫ মিনিট রেখে ধূয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগান। এটি নিয়মিত করার ফলে ত্বকে আর্দ্রতা বাড়বে।
দুধ ও দই
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দুধ অথবা টক দইয়ের সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট পর ধূয়ে ফেলুন। কিছুদিন করলে হারানো আর্দ্রতা ফিরে পাবেন।
সানস্ক্রিন
শীতের মিষ্টি রোদ যতটা ভালো লাগে ঠিক ততটাই ক্ষতি করে। তাই শীতকালে রোদে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
মেকআপ
লিক্যুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। লিক্যুইড ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। তাই ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।