অনেকেরই ধারণা ফলের বীজ পেটে গেলে আর কিছু না হলেও পেটের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। গ্রীষ্মকালের রসালো ফল তরমুজের বীজও এই ধারণার বাইরে নয়। তাই তরমুজ খাওয়ার সময় আমরা খুব কায়দা করে মুখের ভেতরেই তরমুজের ছোটছোট বীজগুলোকে আলাদা করে বাইরে ছুঁড়ে ফেলি।
তবে পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তরমুজ থেকে সরাসরি না খেয়ে বিচিগুলো শুকিয়ে খোসা ছাড়িয়ে খেলে তা আরও বেশি পুষ্টির যোগান দেয়। খোসা ছাড়িয়ে নিলে এর থেকে অনেক ক্ষতিকর জিনিস বের হয়ে যায়, আর প্রোটিনে ভরপুর হয়ে উঠে। এরকম মাত্র ১ আউন্স তরমুজ বীজ প্রায় ১০ গ্রাম প্রোটিনের যোগান দেয়।
অবাক করা হলেও সত্যি, ফেলে না দিয়ে আমাদের বরং তরমুজের বিচি বেশি করে খাওয়া উচিত। কেননা তরমুজের মতই তরমুজের বিচিরও হয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তরমুজের ক্ষেত্রে এর বীজের ওপরের কালো খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের সাদা অংশ বের করা হয়। এতে বিচিগুলো জীবাণুমুক্ত হয়, পুষ্টিগুণ বাড়ে আর হজমে সহজ হয়। এই বিচিগুলোতে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম আর উপকারী ফ্যাট থাকে যা কোলেস্টেরল কমায় আর হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
তবে সরাসরিও তরমুজের বিচি খাওয়া যায়। তরমুজের বিচির স্বাদ অনেকটা সূর্যমুখীর বিচির মতই। এছাড়া, সালাদের সঙ্গেও খেতে সুস্বাদু তরমুজের বীজ।
মূলত যেকোনো বীজই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর তরমুজের বীজ একটু বেশিই উপকারী!