করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কিংবা হাত স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার পরিষ্কার করার পরেও বাতাসের মাধ্যমে এটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই মাস্ক পরার বিকল্প নেই।সার্জিক্যাল মাস্ক ৯০% পর্যন্ত জীবাণুমুক্ত। তবে প্রতিবার এই মাস্ক ব্যবহার করা ব্যয়বহুল অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব নয়। এদিক দিয়ে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করা লাভজনক। সঠিকভাবে পরিষ্কার অনেক বার ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিকভাবে মাস্ক সংরক্ষণ করে ব্যবহার না করলে পরবর্তীতে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।
কাপড়ের মাস্কের ক্ষেত্রে: কাপড়ের মাস্ক আপনি সাধারণ পোশাকের মতো ধুয়ে নিতে পারেন। এজন্য ওয়াশিং মেশিনে বা সাধারণ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে কাপড়ের মাস্ক ভাইরাসমুক্ত করতে পারবেন। তবে এর সাথে অন্য কোনও কাপড় দেবেন না। ওয়াশিং মেশিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ করুন ও সাধারণ লন্ড্রি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। এতেই কাপড়ের মাস্কের করোনাভাইরাস ধ্বংস হবে।
তবে হাতেই কাপড়ের মাস্ক ধুতে চাইলে আগে এক লিটার পানিতে চার চা চামচ ব্লিচ মিশিয়ে সল্যুশন তৈরি করতে পারেন। এরপর আধা লিটার পানির জন্য দুই চা চামচ ব্লিচ মেশালেই হবে। তবে এক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার না করে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন। এবার ওই সল্যুশনে কাপড়ের মাস্ককে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন।
সার্জিক্যাল ও এন-৯৫ মাস্কের ক্ষেত্রে: এন-৯৫ রেসপিরেটর ও সার্জিক্যাল মাস্ককে ভাইরাসমুক্ত করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। এ দুটি মাস্কের ক্ষেত্রেই তা ব্যবহারের আগে ভাইরাসমুক্ত করতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
অনেকে এসব মাস্কের ওপর জীবাণুনাশক তরল ছিটাতে বলেন, কিন্তু এতে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ব্যবহৃত মাস্ক পুনরায় ব্যবহারের আগে ৭২ ঘণ্টা কোনো নিরাপদ স্থানে ঝুলিয়ে রাখুন অথবা কাগজের প্যাকেটের ভেতর রেখে দিন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসব মাস্কে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা করোনাভাইরাস সক্রিয় থাকতে পারে। কাগজের প্যাকেট ছাড়া অন্য ব্যাগ ব্যবহার করবেন না। কাগজ ব্রিদেবল ম্যাটারিয়াল হওয়ায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়। প্লাস্টিকের ব্যাগ অথবা অন্য ব্যাগ ব্যবহার করলে এ সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি নিষ্ক্রিয় নাও হতে পারে। কারণ মাস্কে তরলের উপস্থিতি থাকলে এসব ব্যাগ ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করতে পারে।