বর্ষাকাল যেমন প্রশান্তির তেমনি ভোগান্তির। বর্ষাকালে পোকার উপদ্রব, স্যাঁতসেঁতে ভাব, ময়লা কাদার প্রকোপ বেশি থাকে। এজন্য বর্ষাকালে ঘরের বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার, এমনকি করোনাভাইরাস থেকে নিজে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে ঘর-বাড়ি রাখার কোনও বিকল্প নেই।
এসময়ে ঘরবাড়ি যত্ন করার জন্য বেশ কিছু কাজ করা যেতে পারে। বাড়ির দেয়াল ছাদ এবং দুই দেয়ালের সংযোগস্থলকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে স্যাঁতসেঁতে ভাব বা ফাটল আছে কিনা। ফাটল বা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দেখা দিলে দ্রুত তা মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে বৃষ্টির পানি কোনভাবেই ঘরে প্রবেশ করতে না পারে। ঘরের চাদর, পর্দা এসব ড্রাই ক্লিনিং করে ফেলতে হবে। হাতে ধোয়ার চেয়ে ড্রাই ক্লিনিং এসময়ে বেশি কার্যকরী, কারণ ড্রাই করলে আদ্রভাব কম থাকে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের দ্বারা সংক্রমিত হয় না কাপড়।
বর্ষাতে পানিতে ভিজে নানারকম অসুখ-বিসুখ হতে পারে। তাই বাড়ির সকল সদস্যের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। বাড়িতে ব্লিচিং পাউডার ও কার্বলিক অ্যাসিড ছিটিয়ে রাখতে হবে। তাহলে পোকামাকড় এবং জীবনের সংক্রমণ কম হবে। ফুলের টবের গোড়ায় পানি পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে।
বর্ষায় আসবাবপত্রকে জানালা বা দেয়ালের থেকে দূরে রাখতে হবে যাতে আদ্রতা সংস্পর্শে এসে নষ্ট না হয়ে যায়।আবার এমন কার্পেট ব্যবহার করতে হবে যা সহজে পরিষ্কার করা যায়। ভারী কার্পেট পরিষ্কার করা কষ্টসাধ্য তাই বাজার থেকে হালকা স্পঞ্জ ধরনের কার্পেট কেনাই ভালো। প্রয়োজন ছাড়া কার্পেট গুটিয়ে রাখাই উচিত। আবার, আসবাবপত্রের ভিতরে ন্যাপথলিন বা নিমপাতা রাখলে আর্দ্রতাকে শোষণ করে এবং ভেতরের স্যাঁতস্যাঁতে এবং গন্ধ ভাবকে দূর করে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই পারে এই বর্ষাকালে আমাদের করোনা প্রকোপ থেকে মুক্তি দিতে এবং জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে।