অফিসের সহকর্মীরা প্রত্যেকে খুবই সাহায্য করেন। সিনিয়র বা বসেরাও যেন আদর্শ মেন্টর! সবমিলিয়ে অফিস হয়ত আপনার বর্ধিত পরিবারেরই মতো। নাহ, সকলে এতটা ভাগ্যবান নাও হতে পারেন। পেশাগত জগতে নানা সমস্যা, বাধা বা প্রতিকূলতা দিনের পর দিন একজন কর্মীর মনের উপরেও সাংঘাতিক প্রভাব ফেলতে পারে।
আর অফিসে যদি সত্যিই সেগুলো শেয়ার করার কেউ না থাকে, তাহলে “অফিস স্ট্রেস” থেকেই তৈরি হতে পারে দীর্ঘকালীন ডিপ্রেশন। কেউ হয়তো যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তার প্রকৃত মূল্য পাচ্ছেন না। কিংবা নিজের তুলনায় কাজের দিক থেকে অনেক দুর্বল সহকর্মীকে অতিরিক্ত প্রশংসা পেতে দেখে মন শক্ত রাখতে পারছেন না।
তবে ভেবে দেখুন, অফিসে যদি আপনি নেগেটিভ পরিস্থিতির শিকার হন, তার দায় তো আপনার নয়। ফলে, আপনি যদি ভেঙে পড়েন বা কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার পাশে এসে কেউ দাঁড়বে না। বরং, ক্ষতি হবে আপনার কেরিয়ারেরই!
যাকিছু করতে পারেন
১. প্রথমেই একটু ভেবে দেখুন, আপনার তরফ থেকে কোনও কমতি থাকছে কিনা। নিজেকে আরও দক্ষ করার চেষ্টা করুন। স্বল্প সুযোগেই না হয় নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন।
২. সিনিয়র বা বস যদি আপনাকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রাপ্য সম্মান না দেন, সেটা তার সমস্যা। হতেই পারে, তিনি তার ইগো বা অহংবোধ চরিতার্থ করতে পারছেন না বলেই এমনটা করছেন! এতে আপনি নয়, তিনিই তার নিজের ও আপনার কাছে বারবার ছোট হয়ে যাবেন।
৩. অফিসে ডিসিপ্লিন সংক্রান্ত কিছু নিয়মও থাকে। ফলে, পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।
৪. কাজ করেও প্রশংসা পেলেন না? তাতে কী! নিজেকেই নিজে উৎসাহ দিন।
৫. নিজের প্রতি সৎ থেকে ১০০% দিয়ে কাজ করুন। টিমওয়র্কের ক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে আপোস করলে দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে সকলেরই ক্ষতি।
৬. অফিসের কাজের বাইরে নিজস্ব পৃথিবী গড়ে তুলুন। সেখান থেকেই ভালো থাকার রসদ সংগ্রহ করবেন।
৭. আর এটা মাথায় রাখবেন সকলের সব মতামত শোনা যেমন জরুরি, তেমনি সমান গুরুত্ব দেওয়াটা কিন্তু জরুরি নয়!