যারা নিয়মিত সাজগোজ করেন, মেক-আপ ব্রাশের গুরুত্ব তারা খুব ভালভাবেই জানেন। কিন্তু শেষ কবে তা পরিষ্কার করেছিলেন, তা মনে আছে কি? অপরিষ্কার, পুরনো মেক-আপ লেগে থাকা ব্রাশ হাজারও জীবাণুর আঁতুড়ঘর! সুতরাং তা নিয়মিত ত্বকের সংস্পর্শে এলে কতটা ক্ষতি করতে পারে, আশা করি আর বলে দিতে হবে না। তাই নিয়মিত মেক-আপ ব্রাশের যত্ন নেওয়া জরুরি।
মেক-আপ যতই দামি হোক, পরিষ্কার মেক-আপ টুলস ছাড়া তা মূল্যহীন! ত্বকের ক্ষতি আটকাতে তাই মেক-আপ ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
১. প্রথমে সব অপরিষ্কার ব্রাশ একত্রিত করে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এই পানিতে অল্প অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইড ফেলে দিতে পারেন।
২. এরপর একটি পাত্রে এক চা-চামচ শ্যাম্পু বেশ খানিকটা পানিতে গুলে ভেজানো ব্রাশগুলো ওতে ফেলে দিন। এভাবে সারারাত রেখে দিতে হবে।
৩. পরদিন সকালে একই শ্যাম্পু বা কোনও মাইল্ড সাবানের সাহায্যে আরও একবার ব্রাশ পরিষ্কার করে নিন। কোনও অমসৃণ টেক্সচারের পাত্র বা “ব্রাশ এগ”-এর উপর সার্কুলার মোশনে ব্রাশগুলো ঘষুন। এরপর আঙুল দিয়েও ব্রাশ মাসাজ করে নিন।
৪. শেষে পানি দিয়ে ভালভাবে ব্রাশ ধুয়ে নিন।
৫. ব্রাশ থেকে সমস্ত জীবাণু দূর করতে চাইলে এরপর এক বাটি পানিতে খানিকটা অ্যান্টিসেপ্টিক ও টি-ট্রি অয়েল ফেলে তাতে ব্রাশ ডুবিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় বাটিটা ২ মিনিট মাইক্রো করে নিতে পারেন। বা খানিকক্ষণ গ্যাসেও ফুটিয়ে নিতে পারেন।
৬. কোনও পাতলা কাপড়ে জড়িয়ে ভেজা ব্রাশগুলোকে একটি শুকনো জায়গায়, রোদে রেখে দিন।
৭. শুকিয়ে গেলেই দেখবেন, ব্রাশ একদম ঝকঝক করছে!
৮. যাদের কাছে ব্রাশ ক্লিনার রয়েছে, তারা তার সাহাযেই ব্রাশ ক্লিন করতে পারেন। তবে মাঝেমাঝে ব্রাশ ভালভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
৯. মেক-আপ স্পঞ্জ ব্যবহার করার অভ্যেস থাকলে, তাও নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এক্ষেত্রে রানিং ট্যাপওয়াটারের নিচে মাইল্ড সাবানের উপর স্পঞ্জ ঘষতে থাকুন, যতক্ষণ না তা পুরোপুরি মেক-আপ মুক্ত হয়।
১০. খেয়াল রাখবেন সাবানও যেন পুরোপুরি ধুয়ে যায়। শেষে পানিতে ডুবিয়ে দুই মিনিট সেই পানি ফুটিয়ে নিন। এরপর স্পঞ্জ শুকিয়ে নিন।