লাইফস্টাইল হোক বা কাজের চাপ কিংবা ঘুমের ঘাটতি চোখের চারপাশে যদি কালো বলয় দেখা যায়, তা কিন্তু আপনার ব্যক্তিত্বের ঔজ্জ্বল্যকে ছাপিয়ে প্রকাশ পাবে। না না, চিন্তা করে এই সমস্যাকে আরও বাড়াবেন না! চলুন চটপট জেনে নিই ডার্ক সার্কেল দূর করার সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়।
টমেটো
চোখার নিচের কালি, দাগ-ছোপ, ট্যান কমাতে টমেটো খুব উপকারী। ত্বক নরম করে এবং ডার্ক সার্কেলও ধীরেধীরে কমিয়ে দেয়।
এক চামচ টমেটোর রস প্রত্যেকদিন স্নানের আগে চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দু’বার এভাবে টোম্যাটোর রস লাগান।
ডার্ক সার্কেল তো কমবেই, সঙ্গে ত্বকও ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে!
আলু
আলু খুব ভাল প্রাকৃতিক ব্লিচ এবং ডার্ক সার্কল কমাতে অব্যর্থ। ত্বকও ঠাণ্ডা রাখে।
সামান্য আলু থেতো করে রস বের করে নিন। সেই রসে তুলো ভিজিয়ে চোখের নিচে লাগান। কিছুক্ষণ তুলোগুলো চোখের উপরে রেখেও দিতে পারেন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টি ব্যাগ
গ্রিন টি অ্যান্টইক্সিডেন্টস-এ পূর্ণ যা চোখের নিচের কালিভাব কমাতে ভীষণ ভাল কাজে দেয়।
চা বানানো হয়ে গেলে টি ব্যাগ ফেলে দেবেন না। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার ওই টি ব্যাগ চোখের ওপর রেখে দিন। প্রত্যেকদিন ব্যবহার করলে তাড়াতাড়িই ফল পাবেন।
দুধ
প্রতিদিন ঠাণ্ডা দুধ লাগালেও হাতে নাতে পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। ত্বককে ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি ডার্ক সার্কেল বা অন্যান্য দাগ-ছোপ দূর করতে পারে।
কাঁচা ঠাণ্ডা দুধে তুলো ডুবিয়ে চোখের ওপর রাখুন। কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলা লেবুর রস
আর একটা খুবই কার্যকরী ঘরোয়া উপায় হল কমলা লেবুর রস। লেবুতে ব্লিচিং প্রপার্টি থাকায় ডার্ক সার্কেলের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
সামান্য কমলা লেবুর রসে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ডার্ক সার্কেলের উপর লাগান। এতে ডার্ক সার্কেল কমার সঙ্গেসঙ্গে ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বাড়বে।
শসা
শসারও স্কিন লাইটেনিং ও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট প্রপার্টি আছে। শসা ডার্ক সার্কেল কমানোর পক্ষেও আদর্শ। আর শসা যে কতটা রিফ্রেশিং তাতো সবাই জানেই।
মোটা করে শসা স্লাইস করে নিন। এবার টুকরোগুলোকে ৩০ মিনিট মতো ফ্রিজে রেখে দিন। এবার ১০ মিনিট মতো টুকরোগুলো চোখের ওপর রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রত্যেকদিন দু’বার করে সপ্তাহ খানেক ব্যবহার করুন।
অথবা, সমপরিমাণ লেবুর রস ও শসার রস মিশিয়ে তুলোয় করে চোখের চারপাশে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রত্যেকদিন একবার করে এক সপ্তাহ ব্যবহার করে দেখুন, ফল অবধারিত।
গোলাপ জল
ত্বকের যত্ন নিতে গোলাপ জল চমৎকার কাজ করে। ত্বকের জেল্লা বাড়ায়, ফ্রেশ রাখে ও ত্বককে রিল্যাক্সও করে। টোনার হিসাবেও এর জবাব নেই।
কয়েক মিনিট কটন প্যাড গোলাপ জলে ভিজিয়ে রেখে তা চোখের ওপর কিছুক্ষণ রেখে দিন। কয়েক সপ্তাহ প্রতিদিন দু’বার করে ব্যবহার করুন।
নারকেল তেল
চোখের চারপাশে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলেও উপকার পাবেন। নারকেল তেলের ময়েশ্চারাইজ়িং ক্ষমতা ত্বক মসৃণ করতে সাহায্য করবে। সঙ্গেসঙ্গে বলিরেখাও দেখা দেবে না।
সামান্য একস্ট্রা-ভার্জিন কোকোনাট অয়েল নিয়ে হাল্কাহাতে ম্যাসাজ করে কয়েক ঘন্টা রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েক মাস ব্যবহার করে দেখুন। ফল পাবেন।
হলুদ
হলুদের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি প্রপার্টি চোখের কোণের কালিভাব কমাতে উপকারী। এতে ত্বক কোমল ও মসৃণও হয়।
দুই চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ও এক চামচ আনারসের রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। চোখের নিচে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ভিজে কাপড় দিয়ে হাল্কা হাতে মুছে নিন।