রান্নাঘরের সিঙ্ক, কিচেন টপ থেকে কাঁচা সবজি, সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে আশঙ্কা থেকে যায় নানারকম রোগ ছড়িয়ে পড়ারও। কীভাবে রাখবেন রান্নাঘর পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর? রইলো সহজ কিছু সমাধান।
মেঝে
রান্নাঘরের মেঝে এককথায় জীবাণুর ব্রিডিং গ্রাউন্ড! তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন গরম সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন মেঝে। রান্নাঘরের মেঝে বা অন্য যেকোনও অংশ জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং পাউডার, ভিনিগার, ডিশ সোপ ও উষ্ণ গরম পানির মিশ্রণ।
কিচেন টপ
রান্নাঘরে সবচেয়ে বেশি কাজ হয় কিচেন টপে। ফলে প্রতিদিন নানারকম খাবার পড়ার ফলে সেখানে জন্মাতে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া। ডিম, কাঁচা মাংস, স্পিনাচ, লেটুস ইত্যাদি থেকে কিচেন টপে ছড়িয়ে পড়ে স্যালমোনেলা বা ই কোলাই। ক্ষতিকর এই ব্যাক্টেরিয়াগুলির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত কিচেন টপ পরিষ্কার করা দরকার। সম্ভব হলে প্রত্যেকবার রান্নার পরই পরিষ্কার করে নিন কিচেন ওয়ার্কটপ।
ডিশ স্পঞ্জ
অন্য সমস্ত কিছু নিয়মিত পরিষ্কার করা হলেও অবহেলিত থেকে যায় বাসন মাজার কাপড় অর্থাৎ ডিশ স্পঞ্জ। অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচার জন্য উষ্ণ গরম পানিতে ক্লোরিন ব্লিচ মিশিয়ে তাতে ধুয়ে নিন ডিশ স্পঞ্জ। তবে ডিসইনফেক্ট করার পরেও কাপড়টি থেকে দুর্গন্ধ বেরলে সেটা এবার বদলানোর সময় এসেছে।
কাটিং বোর্ড
রান্নাঘরে আমরা শাক-সবজি বা ফল কাটতে রোজ যে কাটিং বোর্ড ব্যবহার করি, তাতে ব্যাকটেরিয়া থাকে একটা টয়লেট শিটেরও দ্বিগুণ! ফলে সেটিকে পরিষ্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রত্যেকবার ব্যবহারের পর কাটিং বোর্ডটিকে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে মুছে নিন ভাল করে। তা ছাড়াও, সপ্তাহে একদিন ক্লোরিন ব্লিচ মেশানো পানি দিয়ে স্যানিটাইজ করতে হবে বোর্ডটিকে। ক্লোরিন ব্লিচ করার পর গরম পানিতে ধুয়ে মুছে নিন শুকনো কাপ়ড় দিয়ে।