ত্বকের পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য রক্ষা করাও খুব জরুরি। চুলের যত্ন তাই ত্বকের যত্নের মতই গুরুত্বপূর্ণ। তৈরি করা যেমন সহজ, তেমনি দারুণ কার্যকর এই প্রতিটি মাস্ক। বিশ্বাস না হলে নিজেই পরখ করে দেখুন!
নারকেল তেল ও মধুর মাস্ক
চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নারকেল তেলের ভূমিকা সকলেই জানেন। আর মধুর গুণের তো অন্তই নেই। তাই চুলের ডিটক্স মাস্ক হিসেবে এই দু’টো উপাদানই খুব ভাল।
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী সমপরিমাণে নারকেল তেল ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। গোড়া থেকে ডগা অবধি পুরো চুলে ভালভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে আধঘণ্টা রেখে ঈষদুষ্ণ পানিতে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।
চারকোল ও টকেইয়ের মাস্ক
ত্বক হোক বা চুল চারকোল নিয়ে রূপচর্চার দুনিয়ায় এখন রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। ত্বক ও চুল ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে এই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার।
তিন টেবিল চামচ চারকোল পাউডারের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে নিন। পুরো চুল এই মিশ্রণে ঢেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। মিশ্রণটি লাগানোর আগে খেয়াল রাখবেন চুলে যেন তেল দেওয়া না থাকে। এরপর চুল ভালভাবে ধুয়ে নিন। ইচ্ছে হলে শ্যাম্পুও করতে পারেন।
শসা ও লেবুর মাস্ক
উপাদান দু’টোর মধ্যেই বেশ ফ্রেশ একটা ব্যাপার রয়েছে। এদের কাজটাও আসলে তাইই। শসার রস ও পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন।
অথবা, শ্যাম্পুর সঙ্গে এক চা চামচ করে এই দুই উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করুন। চুল সতেজ ও নরম থাকবে, এর পাশাপাশি জেল্লাও বাড়বে।
বেকিংসোডা রিন্স
এটা কোনও মাস্ক নয়। তবে স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বকের বিল্ড-আপ দূর করতে বেশ কার্যকর। প্রতিদিন শ্যাম্পু করা তো আসলে চুলের জন্য ভালো নয়। তবে মাথার ত্বকে ঘাম জমলে বিশেষত গরমকালে, চুলের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে নেওয়ার পর, এক মগ ঈষদুষ্ণ পানিতে ১ চা চামচ বেকিংসোডা মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে মাথার ত্বক ফ্রেশ থাকবে। পাশাপাশি, মাথার ত্বকে ঘামে থাকা ব্যাকটিরিয়াও দূর হবে।