যতই “অকালকুষ্মাণ্ড” অর্থাৎ কুমড়োর নাম বলে গালমন্দ করুক, মন্দ তো নয়ই বরং বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কুমড়ো কিন্তু ভীষণই উপকারী। চুল, ত্বক ভালো রাখা ছাড়াও মানসিক ডিপ্রেশন কাটাতেও মিষ্টিকুমড়ো খাওয়া প্রয়োজন। জেনে নিন কুমড়োর আরও নানা গুণের কথা!
১. কুমড়োতে ক্যালরি থাকে বেশ কম, তার উপর কুমড়োতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ, যেমন লিউটিন, জ্যানথিন ও আরও অনেক কিছু।
২. এছাড়া কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি আছে, যা সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩. গাজরের তুলনায় কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে, যা চোখের পক্ষে ভাল। ভিটামিন-এ চুল ও ত্বকের পক্ষেও খুব উপকারী। চকচকে, উজ্জ্বল চুল ও ত্বকের জন্য কুমড়ো খাওয়া উচিত।
৪. কুমড়োতে ফাইবার ও পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। কুমড়োর ফাইবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। পটাশিয়াম শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পানি ও লবণবার করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. কুমড়োর মধ্যে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই ভাল।
৬. রক্তে শর্করার মাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায়, কুমড়ো সেদিকে নজর রাখে। সেই সঙ্গে ইনসুলিন উৎপাদনও বাড়ায়। ফলে টাইপ-২ ডায়াবিটিস ধারেকাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। তবে ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে কুমড়ো সত্যি কতটা উপকারী, তা নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
৭. এতেও শেষ নয়। শুনতে অবাক লাগলেও, কুমড়ো ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।
৮. পুষ্টি ও ফাইবারে ভরপুর কুমড়ো খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৯. কুমড়ো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১০. ডায়ারিয়ার সমস্যায় দূর করতে সাহায্য করে।
১১. কাঁচাকুমড়োর রস অ্যাসিডিটির সমস্যা রোধ করে।
১২. তবে এর আরও একটি বড় গুণ রয়েছে। তা হল, এটি ক্যানসার রোগকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গবেষকদের মতে, নিয়ম করে কুমড়ো খেলে তা বিশেষ কয়েকটি ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, যেমন প্রস্টেট ও ফুসফুসের ক্যানসার।