আজকের দিনে স্বাস্থ্যসচেতন প্রায় সকলেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চার জন্য কিছুটা সময় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও বুঝে গিয়েছে সবাই। জেনে নিন পুরুষদের জন্য শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউট শুরুর আগে বিশেষ কিছু কথা। এগুলো মাথায় রাখলে কিন্তু উপকারই হবে!
বাড়িতেই জিম
পেশি বাড়ানো, ঘাম ঝরানোর জন্য জিম যে আদর্শ জায়গা তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে অনেক ছেলেই জিমে যেতে পছন্দ করেন না। তাতে নিজেকে নিয়ে হীন্মন্যতায় ভোগার কোনও কারণই নেই। আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী, নিজের জন্য একটা ফিটনেস রুটিন তৈরি করে নিন না! বাড়িতে একটা ট্রেডমিল কিনে নিতে পারেন, বা সকালবেলা মাঠে গিয়ে একটু জগিং করে এলেও হবে। হাঁটা বা দৌড়নো কিন্তু কার্ডিয়ো ওয়ার্কআউট হিসেবে খুবই ভাল।
ধীরে চলুন নীতি
ছেলেদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বেশি। সেটা যেমন একদিকে শরীরচর্চার ক্ষেত্রে মোটিভেশন জোগায়, তেমনই বিপদের কারণও হতে পারে। এর ফলে অনেকেই দ্রুতগতিতে এক্সারসাইজ় করতে শুরু করেন। এতে কিন্তু লাভ তেমন হয় না। বরং ভারোত্তোলনের মতো বেশ কিছু এক্সারসাইজ ধীরে করলেই শরীরের উপকার হবে বেশি, বাড়বে পেশিশক্তি, রক্ত চলাচলও উন্নত হবে।
নতুন কিছু ভাবুন
বেশিরভাগ ছেলেদের ক্ষেত্রেই ওয়ার্কআউট রুটিনে বদল আনা বা নতুন এক্সারসাইজের চেষ্টা করা একেবারেই একঘেয়ে! তাই এবার ছক ভেঙে নতুন কিছু করে দেখুন। বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ করলে শরীরের সব অংশের ট্রেনিং হবে, ফলে উন্নত হবে কোর স্ট্রেংথ, ফ্লেক্সিবিলিটি ও ব্যালান্স।
ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ান
সাধারণত ছেলেদের শরীর মেয়েদের চেয়ে অনেক কম ফ্লেক্সিবল। তাই নিয়মিত স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করলে পেশির নমনীয়তা বাড়বে। ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়লে পেশির ওপর চাপ কম পড়বে আর কমবে আঘাত লাগার আশঙ্কাও। এজন্য আদর্শ যোগাসন ও পিলাটিস। ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ছেলেদের হ্যামস্ট্রিং, কাঁধ ও কোমরের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিৎ।
সার্বিক উন্নতি
ফিট থাকা মানে যে শুধুমাত্র শারীরিক ফিটনেস নয়, শারীরিক, মানসিক, ইমোশনাল, সম্পূর্ণ ভাল থাকাকেই বোঝায়, সেটা ছেলেরা ভুলেই যায়! শুধু শরীরচর্চা মানেই ফিটনেস ট্রেনিং নয়। এমন অনেক ট্রেনিং পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোর লক্ষ্য সার্বিক উন্নতি অর্থাৎ, স্ট্রেস কমানো ও মন ভাল রাখাও। তাই সাধারণ ট্রেনিং পদ্ধতির পাশাপাশি হোলিস্টিক ট্রেনিংও শুরু করতে পারেন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
শরীরচর্চা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ওয়ার্কআউটের মাঝে বিশ্রাম নিয়ে শরীরকে রিকভারি টাইম দেওয়াও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের উপকার হচ্ছে ভেবে টানা অনেকক্ষণ প্রচুর পরিশ্রম করলে কিন্তু উল্টে ক্ষতিই হয়। এরফলে আঘাত লাগার ও অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই, সেইসঙ্গে ওয়ার্কআউট করার উদ্যমটাও হারিয়ে যেতে পারে।