সারাবছর চুল ভাল থাকলেও, ৯০% মানুষেরই শীতকালে খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। আর তখন পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে অনেকেই চুলের যত্ন নিতে গিয়ে এমন কিছু ভুল করে ফেলেন, যাতে সমস্যা কমার বদলে আরও বেড়ে যায়! খুশকি কমাতে যে যত্নগুলো নিচ্ছেন, তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হচ্ছে না তো? শীতকালে চুলকে খুশকিমুক্ত রাখতে তাই আজ থেকেই শুধরে নিন নিজের ভুলগুলো।
১. খুশকি দূর করতে ঘনঘন শ্যাম্পু করেন, তাতে ফল তো পাওয়া যায়ই না বরং সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ঘনঘন চুল ধুলে শুষ্কতা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। আর শুষ্কতা যে খুশকির দোসর, তা কে না জানে!
২. খুশকি প্রতিকারের অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে। পাতিলেবুর রস, টি-ট্রি অয়েল, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, গ্রিন টি, পেপারমিন্ট অয়েল, মেথি ইত্যাদি প্রতিটি উপকরণই খুশকি প্রতিরোধে অব্যর্থ। প্যাক হিসেবে এর মধ্যে থেকে যে কোনও উপাদান বেছে নিতে পারেন।
৩. চুলে ধুয়ে শেষবার এক মগ পানিতে পাতিলেবুর রস, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার বা কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি-অয়েল মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুতে পারেন।
৪. নিমপাতা ফুটিয়ে সেই পানিতে টকদই ও অ্যাভোকাডোর ক্বাথ মিশিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৫. আমলা, শিকাকাই ও হেনা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। খুশকি কমাতে সাহায্য করবে।
৬. মনে রাখতে হবে, খুশকি রাতারাতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য সময় ও নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন। তাই খুশকি পুরোপুরি দূর হওয়া পর্যন্ত যত্ন কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে!