বিয়ের অনুষ্ঠান বলে কথা। পোলাও, মাংসের রেজালা, মুরগির রোস্ট আর শেষ পাতে মিষ্টান্ন যদিই না থাকে তবে বিয়ে বাড়ি ঠিক জমে ওঠে না যেন। এদিকে কবজি ডুবিয়ে শুধু ভোজ দেওয়ার উদ্দেশ্যে কতজন বিয়ে বাড়িতে যায় তারও ঠিক নেই।
তাই বলে পাতে মাংস একটু কম পড়ায় বিয়ে ভেঙে যাবে এমন ঘটনা বোধহয় সচারাচর কেউ বিশ্বাস করবে না। শনিবার (১৩ মার্চ) বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস কম পেয়ে বিয়ে ভেঙে যাবার ঘটনা ঘটেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বর্ধমান জেলার গলসির বাহিরঘন্না গ্রামে।
ওই গ্রামে বিয়ে পড়ানো শেষে চলছিল ভোজ পর্ব। এমন সময় বরপক্ষ অভিযোগ করেন খাবারের প্লেটে মাংস কম। পাল্টা জবাব দিতে পিছপা হয়নি কনেপক্ষও। ফলাফল-শুরু হয় কথা কাটাকাটি। তার থেকে হাতাহাতি। এরপর ভাঙচুর। আর শেষ পর্যন্ত পুলিশের খাতায় নাম।
পরিবেশ শান্ত হলে দু পক্ষই আলোচনা করে সব মিটমাটের সিদ্ধান্ত নিলে বেঁকে বসেন স্বয়ং কনে। তার দাবি, এমন পরিবারে বউ হয়ে যাবো না যারা সামান্য বিষয় নিয়ে এত বড় কাণ্ড ঘটাতে পারে।
নববধূর এমন সিদ্ধান্তে বাহবা দিয়েছেন প্রতিবেশীসহ উপস্থিত সকলেই। কনেপক্ষ তাদের সামর্থ অনুসারেই আয়োজন করেছিল বলে জানান তারা।
মেয়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে তার বাবা বলেন, "শুরুতে দ্বিধায় ছিলাম কী করবো। কিন্তু পরে বুঝলাম মেয়ে আমার ঠিক বলছে। পাতে মাংস কম পেয়ে যারা এত কিছু করতে পারে, তারা বউকে ভালো রাখবে কীভাবে?”
প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার ৭০জন বরযাত্রী নিয়ে গলসির বামুনাপাড়া গ্রামের সায়ন মণ্ডল বিয়ে করতে আসেন। দুপুরে মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন হলে কনের বাড়িতে খাবারের আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে মাংস কম অভিযোগ এনে ভাঙচুর করেন বরযাত্রীর কয়েকজন।
এ ব্যাপারে পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বরের বাবা, বর ও বরযাত্রীর কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ না পেয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।