বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক। মণ্ডপ সাজানো শেষ। বরের ঘোড়াও প্রস্তুত। কিন্তু বর নেই। বরের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। অগ্নি সাক্ষী রেখে সাত পাঁকে ঘোরার সেসময়ে হাসপাতালে কাটাতে হচ্ছে তাকে।
তবে কনেও নাছোড়বান্দা। যেভাবেই হোক ঠিক সময়েই বিয়ে সম্পন্ন হওয়া চাই তার। আর তাই পিপিই পরেই রওনা হলো হাসপাতালের উদ্দেশে।
এমনই নাছোড়বান্দা এক যুগলের বিয়ের সাক্ষী হয়ে রইলো ভারতের মধ্যপ্রদেশ। মধ্যপ্রদেশের রতলামে ওই যুগল পিপিই কিট পরেই বিয়ে করেছেন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই'র বরাত দিয়ে জানা যায়, সোমবার (২৬ এপ্রিল) হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন তারা। এসময় পুরোহিতসহ আরও তিনজন ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রত্যেকেই পিপিই কিট পরিহিত ছিলেন।
এদিকে পিপিই কিট পরে বিয়ে করলেও তাদের বিয়ের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই মহামারির মধ্যে বিয়ে করার জন্য তাদের সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে গিয়ে রতলামের তহসিলদার নাভিন গার্গ বলেন, "গত ১৯ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বর। আমরা বিয়ে বন্ধ করার জন্য উপস্থিত হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ ও নির্দেশে বিবাহ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। তবে বর-কনে দু'জনকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পিপিই পরানো হয়।"
এমনকি মধ্য প্রদেশের ভিন্দ জেলার পুলিশ সুপার মনোজ কুমার সিং এও বলেন, যদি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে ১০জনের কম অতিথি হয় তবে সেই বর-কনেকে তার নিজের বাড়িতে দুর্দান্ত নৈশভোজ খাওয়াবে।
মনোজ আরও বলেন, "এই দম্পতিদের কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য পদক প্রদান করা হবে এবং তাদের জন্য সরকারি গাড়ির ব্যবস্থাও করা হবে।"
উল্লেখ্য, ভারত বর্তমানে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় তরঙ্গের তীব্র উত্থানের সাথে লড়াই করছে। দেশজুড়ে যে কোনো ধরনের সমাবেশ সমাবেশকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। মধ্য প্রদেশ সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে বিবাহ অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০জন অতিথিকে অনুমতি দেওয়া হবে।