সম্পর্কে অবনতি হতে থাকলে তা নানাভাবেই প্রকাশ পায়। যদিও দাম্পত্যের ক্ষেত্রে বিষয়টি বোঝা বেশ কঠিন। কারণ সেখানে প্রচুর ঝগড়া, তর্ক এবং মন খারাপের মুহূর্ত থাকা স্বাভাবিক। এতে সম্পর্কটি যে ফুরিয়ে যাচ্ছে তা অনুধাবনের ক্ষেত্রে কিছুটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হতে পারে। কিছু কার্যকলাপ এবং শব্দের ব্যবহার ইঙ্গিত দেয় যে বিয়ের বন্ধন আর কাজ করছে না।
বিয়ের বন্ধন যে আর কাজ করছে না, তা কখন বুঝবেন? জেনে নিন লক্ষণগুলো-
সিঙ্গেল মানুষের মতো জীবনযাপন
আপনি বিবাহিত কিন্তু এই জীবন আপনার ভালো লাগে না, তখন এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিয়ে হলো দায়িত্ব ভাগাভাগি এবং পারস্পারিক বোঝাপড়ার বিষয়। আপনি বা আপনার সঙ্গী যদি সত্যিই এতে অনাগ্রহী হয়ে ওঠেন, তখন আর কিছুই করার থাকে না? আপনার সঙ্গীটি সিঙ্গেল মানুষের মতো জীবনযাপন শুরু করলে বুঝে নেবেন ভাঙনের বেশি দেরি নেই।
আপনার ভবিষ্যতে সে অনুপস্থিত
অবচেতন মনের কল্পনার জীবনসঙ্গীকে ভবিষ্যতে একসঙ্গে দেখতে না পাওয়াটা একটি খারাপ ইঙ্গিত। বিয়ে হলো একসঙ্গে জীবন কাটানো এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা। সঙ্গীর সঙ্গে আপনার স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জন আপনাকে আনন্দিত করবে। তেমনটা না হলে ধরে নিতে হবে সম্পর্ক ঠিক পথে এগোচ্ছে না।
বিপদ সংকেত
সঙ্গী আপনি ব্যতীত অন্য কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় পার করছে, এমনটা ভেবেও যদি আপনি চিন্তিত না হন তবে এটি একটি প্রধান বিপদ সংকেত। এর মানে হলো আপনি আর আপনার সঙ্গীর প্রতি একই অনুভূতি পোষণ করছেন না। এমনকি আপনি আপনার সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে সুখী মনে করতে পারেন।
স্বাধীন অর্থায়ন
বড় ধরনের খরচের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, আপনার সঙ্গীকে জানানো বা তার মতামত অথবা সহায়তা নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু সেই চিন্তা যদি আপনাকে বিরক্ত করে এবং আপনার সঙ্গীকে আপনার আর্থিক বিষয়ে বলা থেকে বিরত রাখে, তাহলে আপনি সম্ভবত তার সঙ্গে আর থাকতে চান না। আর্থিক সমস্যাগুলো বিচ্ছেদ এবং বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ।
প্রধান সমস্যা সমাধান করা
বৈবাহিক জীবনের সমস্যাগুলো সমাধান করার প্রচেষ্টায় যদি আপনার আগ্রহ না থাকে তবে সেটি আর স্থায়ী হবে না। ক্রমাগত উত্থান-পতনের কারণে নড়বড়ে হতে পারে দাম্পত্য জীবন। সেটি ঠিক রাখার জন্য দুজনকেই সমান আগ্রহী ও উৎসাহী হতে হবে।