বিয়ে আমাদের সামাজিক জীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা জুড়ে রয়েছে। বিয়ে শুধু দুটি দুজন মানুষ নয়, দুটো পরিবারের বন্ধন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়ে পারিবারিকভাবে হলেও অনেকেই নিজের দাম্পত্য সঙ্গী নিজেই পছন্দ করে থাকেন। বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে নিজের দাম্পত্য সঙ্গী নিজে পছন্দ করে নেওয়ার প্রবণতাও বেশ বেড়েছে।
তবে অনেকেই নিজের পছন্দের মানুষকে মনের কথাগুলো সঠিকভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে বলে উঠতে পারেন না। ফলে মনের মানুষটির কাছে হয়তো বার বার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েও ব্যর্থ মনোরথ হয়েই ফিরতে হয়।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আকস্মিক বৈবাহিক সম্পর্কের প্রস্তাবে নারীরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। আবার অনেক মানুষের সামনে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে, বিষয়টি অনেক মানুষের অতি উৎসাহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। আর এসব ক্ষেত্রে অধিকাংশ নারী অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারেন, একই রকম হতে পারে পুরষদের ক্ষেত্রেও।
মনোবিদদের গবেষণায় এমন অনেক কারণই উঠে এসেছে, যা হয়তো আপনার সঙ্গে মিলে যাবে। যেসব কারণে আপনার মনের কথাটি আপনার পছন্দের মানুষ বারবার প্রত্যাখ্যান করছে বা ঠিক যেভাবে আপনি চাইছেন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সেরকম হয়ে উঠছে না।
আসুন কিছু এমন ভুল ভ্রান্তির বিষয়ে জানা যাক, যেগুলোর কারণে হয়তো আপনি বিফল হচ্ছেন-
বিয়ের প্রস্তাব জনসমক্ষে হলে
যখন একজন পুরুষ অনেকের সামনে একজন নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তখন সেই প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এ কারণে যদি আপনি আপনার মনের কথা একান্তে খুলে বলেন, তাহলে আপনার মনের মানুষটি শান্ত মস্তিষ্কে এবং পারিপার্শ্বিক কোনো প্রভাবের ফলে সৃষ্ট মানসিক চাপ ছাড়া আপনার কথা শুনবে, অনুভব করবে এবং পরিশেষে হয়তো আপনার প্রস্তাবে ইতিবাক সাড়াও নিবে।
আকস্মিক বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে
যদি এমন হয় যে, দীর্ঘদিন পরিচিত হলেও কোনোরকম আলাপ আলোচনা বা সংকেত ছাড়াই আকস্মিক কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহলে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। এ কারণে ঘনিষ্ঠ বা ঘনিষ্ঠ নয়; এমন যে কাউকে একেবারে আকস্মিকভাবে বিয়ের না দিয়ে, তাকে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া ভালো।
খুব বেশি ঘনিষ্ঠ নয় এমন কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হলে
এমন কাউকে যদি বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়-যিনি হয়তো প্রস্তাব প্রদানকারীর সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ নয় বা মানসিক বোঝাপড়া অতটা ভালো নয়, সেক্ষেত্রেও বিয়ের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য দুজন মানুষের একে অপরকে ভালোভাবে জানা আবশ্যক। তাই কাউকে বিয়েরর প্রস্তাব দেওয়ার আগে, আপনার সম্বন্ধে তার মনে একটি স্পষ্ট ধারণা তৈরি করুন, তারপর প্রস্তাব দিন।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে নারী পুরুষ উভয়ের মনেই ভীষণ পীড়া এবং বিষণ্ণতার সৃষ্টি হয়। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আশা করা যায়, বিয়ের মতো স্পর্শকাতর ও আবেগঘন বিষয়ে প্রস্থাব দিয়ে আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন।
তাই বিষণ্ণতা বা মানসিক পীড়ায় দিনযাপন না করে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে মনের কথাটি আপনার মনের মানুষকে খুলে বলুন।