কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মুসলিম পরিবারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোরবানির পশু কেনা হয়ে গেছে প্রায় সকলের। যাদের কেনা হয়নি, তারাও কিনে ফেলবেন আজ বা আগামীকাল কিনে ফেলবেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে শুরু হবে পশু জবাই। তারপর মাংস বন্টন ও সংরক্ষণের ঝক্কি। সারাদিনের এতসব কাজের পর বাড়িতে একটি চাপ যারা গরু বা খাসির ভুঁড়ি খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য।
ভুঁড়ি পরিষ্কার করা বেশ ঝক্কির কাজ। ভুঁড়িতে লেগে থাকা ময়লা দূর করতে অনেকে চুন ব্যবহার করেন। তবে কোরাবানির দিনে অন্যান্য কাজের সঙ্গে সময়সাপেক্ষ এই পদ্ধতি বাদ দিয়ে সহজ উপায়ে ঝটপট পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন ভুঁড়ি।
প্রথমে মাঝারি টুকরা করে ভুঁড়ি কেটে নিন। প্রতিটি টুকরো আলাদা আলাদা করে পানিতে ধুয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। একটি হাঁড়িতে পানি ফুটিয়ে নিন। খানিকটা ফুটন্ত পানি আলাদা একটি পাত্রে নিয়ে ভুঁড়ির কালো পাশটি পানিতে দিয়ে দিন। ১২ থেকে ১৩ সেকেন্ড রেখে সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিন। একটি চামচ দিয়ে ভুঁড়ি চেপে ধরে আরেকটি চামচ দিয়ে আঁচড়ে কালো ময়লা তুলে নিন। একটু ঠান্ডা হলে চামচ সরিয়ে হাত দিয়ে চেপে ধরে আঁচড়ে তুলুন কালো ময়লা। ভুঁড়ির যে অংশ খাঁজকাটা থাকে, সেই অংশ আরও কয়েক সেকেন্ড বেশি ভেজাবেন গরম পানিতে। চামচের বদলে স্টিলের গ্লাস দিয়েও ওঠাতে পারেন ময়লা। তবে ১৩ থেকে ১৭ সেকেন্ডের বেশি গরম পানিতে রাখবেন না ভুঁড়ি। এতে ময়লা আরও আটকে যেতে পারে।
ভুঁড়ি ভালো করে পরিষ্কার করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। একটা একটা টুকরা নিয়ে ধোবেন। এবার ভুঁড়ি সেদ্ধ করার জন্য হাঁড়িতে পানি নিন পর্যাপ্ত পরিমাণে। এমনভাবে পানি নেবেন যেন ভুঁড়ি ডুবে থাকে পুরোপুরি। ১ থেকে দেড় চা চামচ হলুদ দিয়ে দিন পানিতে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে সেদ্ধ করুন ভুঁড়ি। সেদ্ধ হওয়ার পর ঠান্ডা করে রান্নার জন্য পছন্দমত সাইজে টুকরা করে নিন। আর যদি ফ্রীজে সংরক্ষণ করতে চান তাহলে এখনই ছোট টুকরা করবেন না, একটু বড় বড় সাইজ করে ফ্রিজে রাখুন।
এজন্য সিদ্ধ হওয়ার পর পানি ঝরিয়ে কয়েকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে ছোট জিপলক ব্যাগ কিংবা মুখবন্ধ বাটিতে করে ফ্রিজে রেখে দিন। ভুঁড়ি সিদ্ধ করে ডিপফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন অনেক দিন পর্যন্ত।