Sunday, March 16, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

বগুড়ায় বেগুনীখালার হাতে বাহারি পিঠা!

প্রত্যেকটি চুলায় রাখা কড়াইয়ে শীতের রকমারি পিঠা-পুলি তৈরির কাজ চলছে মহাসমারোহে

আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৩৮ পিএম

সারাদেশে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে শীত। উত্তরবঙ্গে এর মাত্রা বরাবরের মতই বেশি। আর শীতের এই হিমহিম আমেজের সাথে পিঠাপুলির যেন অনেকটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আর তাইতো উত্তরবঙ্গের জেলা বগুড়ায় জমেছে পিঠার মেলা। বগুড়া শহরের খান্দার এলাকায় কারমাইকেল সড়কের শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথের পাশে খানিকটা বড় পরিসরেই বসানো হয় শীতকেন্দ্রিক ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। চারকলের খড়িতে একসঙ্গে জ্বলছে ছয়টি চুলা। প্রত্যেকটি চুলায় রাখা কড়াইয়ে শীতের রকমারি পিঠা-পুলি তৈরির কাজ চলছে মহাসমারোহে। দ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দোকানের তিন পাশ ঘিরে ক্রেতারা শীতকালীন রকমারি পিঠার স্বাদ নিতে অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করছেন। 

কেউ বসে আবার কেউবা দাঁড়িয়ে।আবার কেউ কেউ বাসা-বাড়িতে নিয়ে যান। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকার আসাদুর রহমান। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে সাতদিনের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। তবে তিনি শহরে স্টেডিয়াম এলাকায় বেগুনী খালার পিঠার স্বাদ নিয়েই শনিবার রাতের কোচে উঠবেন। প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছেন চিতই পিঠার জন্য। এমন সময় অটো রিকশায় সেখানে এলেন কাহালুর বাসিন্দা আবদুস সালাম বাবু। সাথে তার ৫ বছরের কন্যা। মালগ্রাম এলাকার শিক্ষক হেমায়েত উদ্দিন ৬ বছরের ছেলে প্রত্যয়কে নিয়ে এসেছেন পিঠা খেতে। এভাবেই প্রতিদিনই শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকা থেকে পিঠার স্বাদ নিতে সব আসছেন শহরের খান্দার এলাকায়। শুধু ষ্টেডিয়াম নয়; বগুড়ার জিরোপয়েন্ট সাতমাথাসহ আশপাশের সকল ফুটপাত এখন জমজমাট শীতের পিঠায়। 

পিঠা বিক্রেতা বেগুনী বেগম জানান, তার স্বামী ইদ্রিস আলী বেপারী, সহযোগী রাবেয়া বেগম, সিফাত, করিমুল্লাহসহ আরো দু’জন প্রত্যেক বছর শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা পিঠা-পুলির ব্যবসা করে থাকেন। তাদের সবার বাড়ি শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম এলাকায়। তরুণ সহযোগী সিফাত জানান, বেগুনী বেগম ও তার স্বামী ইদ্রিস আলী সম্পর্কে তার দাদা-দাদী।

বেগুনী বেগম বলেন, প্রায় বিশ বছর ধরে শীতকালীন পিঠা-পুলির ব্যবসা করে আসছেন তারা। শীত শেষে অন্য কাজ করেন। তিনি জানান, বিকাল হলেই তারা পিঠার দোকান দিয়ে বসেন। সন্ধ্যার পর থেকেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে; চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। তাদের দোকানে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাঁল পিঠা, ঝাঁল-মিষ্টি কুশলি পিঠা বানানো হয়। এর মধ্যে ভাপা প্রতি পিস ১০ টাকা, চিতই ১৫ টাকা, ঝাঁল পিঠা ১২ টাকা ও কুশলি প্রতি পিস ৭ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। 




   

About

Popular Links

x