দুজন মানুষের বোঝাপড়া গভীরতায় গড়ে ওঠে সম্পর্ক। তবে সেটিকে সফল করে তোলে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস চাহিদা, চাওয়া, প্রত্যাশা ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতা। আর সম্পর্ককে নিরাপদ করে তোলে উভয়ের সবকিছু মানিয়ে নেওয়া। এজন্য ছাড় দিতে হয় কিছু অভ্যাসেও।
থেরাপিস্ট এলিজাবেথ আর্নশ এমন কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন। যদিও তার মতে এভাবে কয়েকটি ধরাবাধা বিষয় একটি সম্পর্ক আরও ভালো করতে পারে না। এজন্য নিত্যনৈমিত্তিক অনেক কিছুই প্রভাব রাখে।
তবুও প্রধানত চারটি বিষয় উল্লেখ করেন এই বিশেষজ্ঞ। তার পরামর্শগুলো উঠে এসেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর অনলাইন সংস্করণে।
কাজ ভাগ করে নেওয়া: সম্পর্ক চমৎকার করতে পরস্পরকে কাজ ভাগ করে নিতে হবে। একজন বেশি কাজ করলো। কিন্তু আরেকজন কোনো খোঁজই রাখল না, এমনটা দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি বিচ্ছেদও ঘটাতে পারে। তাই কাজ ভাগ করে নিতে হবে।
একসঙ্গে সময় কাটান: সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর আমরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। পরস্পরকে সময় দেই না। সঙ্গীর জন্য সময় বরাদ্দ রাখি না। এটি সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সঙ্গীকে বেশি বেশি সময় দিন।
কথা চেপে রাখবেন না: মানসিক চাপ কিংবা অন্য কোনো বিষয় চেপে রাখবেন না। বরং সেটি বলে ফেলুন। এমনকি সেটির সমাধান করে দিতে পারে আপনার কাছের মানুষটিই।
প্রযুক্তি ব্যবহারে সাবধান: দিন-রাত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে যদি সম্পর্কে সময় না দেন, সেটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য ঠিক করে নিন প্রযুক্তি ব্যবহারের সময়ের। পুরোপুরি প্রযুক্তিতে মগ্ন না হয়ে চারপাশেও নজর রাখুন। যেন আপনার অমনোযোগ সম্পর্ককে নষ্ট না করে।