এই ভেষজ উদ্ভিজ্জ উপাদানটির বিপুল পরিমাণে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আছে। আজকের এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ফিচারে জানা যাবে গোল্ডেন মিল্কের সেই জাদুকরী উপকারিতা
হলদি দুধ / গোল্ডেন মিল্ক সংগৃহীত
ইউএনবি
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৫৪ পিএমআপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৫৪ পিএম
হলদি দুধ নামে বহুল পরিচিত গোল্ডেন মিল্ক মূলত একটি ভারতীয় পানীয় যা ভারত উপমহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতিতেও জনপ্রিয়তা লাভ করছে। হলুদ ফুলের নির্যাস থেকে পাওয়া এই উজ্জ্বল সোনালী বর্ণের পানীয়টি পশু বা উদ্ভিদ জাত সাদা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় হলদি দুধ। এর মূল উপকরণ হলুদ মশলা হিসেবে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ভেষজ উদ্ভিজ্জ উপাদানটির বিপুল পরিমাণে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আছে। আজকের এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ফিচারে জানা যাবে গোল্ডেন মিল্কের সেই জাদুকরী উপকারিতা।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গোল্ডেন মিল্কের উপকারিতা
প্রদাহ ও জয়েন্টের ব্যথা উপশম
গোল্ডেন মিল্কের প্রধান উপাদান হলুদ, আদা এবং দারুচিনি প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সক্ষম।
মানবদেহের কোষের সংরক্ষণ
গোল্ডেন মিল্ক-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে রোগ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি সূক্ষ্ম রেখা অথবা বলিরেখার মত দ্রুত বয়স বৃদ্ধি জনিত লক্ষণ দেখা দেওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
হজমে সুবিধা
এই দুধের দুটি উপাদান আদা এবং হলুদ বদহজম দূর করতে সাহায্য করে। আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশম করতে হলুদের সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে।
দেহের হাড়ের প্রতিরক্ষা
পশুজাত সাদা তরল দুধ দিয়ে তৈরি হওয়ায় গোল্ডেন মিল্ক প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হয়। এই পুষ্টি দুটি দেহের কাঠামো সুঠাম রাখে এবং হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি
হলদি দুধের উপকরণ আদা স্মৃতিশক্তি উন্নত করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আদা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা
হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যটি গ্লুকোমা এবং ছানি নিরাময়ে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ সেবন দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও গ্লুকোমার অগ্রগতির বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ত্বকের সুরক্ষা
হলুদের প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়া ও অক্সিডেন্ট বিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনুকূল ভূমিকা পালন করে। যেমন- ক্ষত সারানো, ব্রণ প্রতিরোধ করা, একজিমার বিরুদ্ধে লড়াই করা, দাগ দূর করা, ত্বকে প্রাকৃতিক আভা ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি।
গোল্ডেন মিল্ক প্রস্তুত প্রণালী
ঘরে এক কাপ হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক তৈরি করার জন্য যে উপকরণগুলো প্রয়োজন তা হলো-
→ আধা কাপ (১২০ মিলিলিটার) দুধ
→ হলুদ ১ চা চামচ
→ ছোট এক টুকরো তাজা আদা বা আধা চা চামচ আদা গুঁড়া
→ আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া
→ এক চিমটি কালো মরিচ
প্রথমে ছোট একটি পাত্রে সমস্ত উপাদান মিশ্রিত করে সিদ্ধ করা শুরু করতে হবে। অল্প তাপে প্রায় ১০ মিনিট সিদ্ধ করলে সুগন্ধি আসতে শুরু করবে। অতঃপর উপরে এক চিমটি দারুচিনি ছিটিয়ে পানীয়টি সূক্ষ্ম একটি ছাঁকনি দিয়ে মগে ছেঁকে নিতে হবে।
গোল্ডেন মিল্ক আগে থেকে তৈরি করে ফ্রিজে পাঁচ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। পান করার আগে শুধু একবার গরম করে নিলেই হবে।
গোল্ডেন মিল্কের সঙ্গে এক চামচ মধু বা ম্যাপেল সিরাপ মিশিয়ে নিলে স্বাদের সঙ্গে এর পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়।
গোল্ডেন মিল্ক খাওয়ার সঠিক সময়
হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক খাওয়ার সেরা সময় হলো রাতে ঘুমাতে যাবার আগে। শোবার আগে এক গ্লাস গরম হলুদ দুধ পান করা রাতে ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করতে পারে। যারা অনিদ্রায় ভুগেন বা রাতে জেগে কাজ করেন, তাদের রুটিনে হলদি দুধ থাকা আবশ্যক। অভ্যন্তরীণ আঘাত বা ফোলা ভাব থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভে এর জুড়ি নেই। ঘুমের সময় মানবদেহের বাহ্যিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে গেলেও শরীরের আভ্যন্তরীণ মেরামতের কাজগুলো করার জন্য ঘুম হলো আদর্শ সময়।
সমূহ সুবিধা সত্ত্বেও কিছু কিছু সময় হলদি দুধ পানের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে হলদি দুধ দোকান থেকে কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে লেবেলের দিকে উপকরণগুলোর পরিমাণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া যাদের দুধে এলার্জি তাদের জন্য এই পানীয় বিপজ্জনক হতে পারে।
সয়া বা বাদামের অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের এই দুধ এড়ানো উচিত। দোকান থেকে কেনা গোল্ডেন মিল্কে বিভিন্ন ধরণের বাদাম ও সয়া থাকে।
গোল্ডেন মিল্কের জাদুকরী উপকারিতা
এই ভেষজ উদ্ভিজ্জ উপাদানটির বিপুল পরিমাণে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আছে। আজকের এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ফিচারে জানা যাবে গোল্ডেন মিল্কের সেই জাদুকরী উপকারিতা
হলদি দুধ নামে বহুল পরিচিত গোল্ডেন মিল্ক মূলত একটি ভারতীয় পানীয় যা ভারত উপমহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতিতেও জনপ্রিয়তা লাভ করছে। হলুদ ফুলের নির্যাস থেকে পাওয়া এই উজ্জ্বল সোনালী বর্ণের পানীয়টি পশু বা উদ্ভিদ জাত সাদা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় হলদি দুধ। এর মূল উপকরণ হলুদ মশলা হিসেবে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ভেষজ উদ্ভিজ্জ উপাদানটির বিপুল পরিমাণে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আছে। আজকের এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ফিচারে জানা যাবে গোল্ডেন মিল্কের সেই জাদুকরী উপকারিতা।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গোল্ডেন মিল্কের উপকারিতা
প্রদাহ ও জয়েন্টের ব্যথা উপশম
গোল্ডেন মিল্কের প্রধান উপাদান হলুদ, আদা এবং দারুচিনি প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সক্ষম।
মানবদেহের কোষের সংরক্ষণ
গোল্ডেন মিল্ক-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে রোগ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি সূক্ষ্ম রেখা অথবা বলিরেখার মত দ্রুত বয়স বৃদ্ধি জনিত লক্ষণ দেখা দেওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
হজমে সুবিধা
এই দুধের দুটি উপাদান আদা এবং হলুদ বদহজম দূর করতে সাহায্য করে। আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশম করতে হলুদের সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে।
দেহের হাড়ের প্রতিরক্ষা
পশুজাত সাদা তরল দুধ দিয়ে তৈরি হওয়ায় গোল্ডেন মিল্ক প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হয়। এই পুষ্টি দুটি দেহের কাঠামো সুঠাম রাখে এবং হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি
হলদি দুধের উপকরণ আদা স্মৃতিশক্তি উন্নত করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আদা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা
হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যটি গ্লুকোমা এবং ছানি নিরাময়ে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ সেবন দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও গ্লুকোমার অগ্রগতির বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ত্বকের সুরক্ষা
হলুদের প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়া ও অক্সিডেন্ট বিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনুকূল ভূমিকা পালন করে। যেমন- ক্ষত সারানো, ব্রণ প্রতিরোধ করা, একজিমার বিরুদ্ধে লড়াই করা, দাগ দূর করা, ত্বকে প্রাকৃতিক আভা ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি।
গোল্ডেন মিল্ক প্রস্তুত প্রণালী
ঘরে এক কাপ হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক তৈরি করার জন্য যে উপকরণগুলো প্রয়োজন তা হলো-
→ আধা কাপ (১২০ মিলিলিটার) দুধ
→ হলুদ ১ চা চামচ
→ ছোট এক টুকরো তাজা আদা বা আধা চা চামচ আদা গুঁড়া
→ আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া
→ এক চিমটি কালো মরিচ
প্রথমে ছোট একটি পাত্রে সমস্ত উপাদান মিশ্রিত করে সিদ্ধ করা শুরু করতে হবে। অল্প তাপে প্রায় ১০ মিনিট সিদ্ধ করলে সুগন্ধি আসতে শুরু করবে। অতঃপর উপরে এক চিমটি দারুচিনি ছিটিয়ে পানীয়টি সূক্ষ্ম একটি ছাঁকনি দিয়ে মগে ছেঁকে নিতে হবে।
গোল্ডেন মিল্ক আগে থেকে তৈরি করে ফ্রিজে পাঁচ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। পান করার আগে শুধু একবার গরম করে নিলেই হবে।
গোল্ডেন মিল্কের সঙ্গে এক চামচ মধু বা ম্যাপেল সিরাপ মিশিয়ে নিলে স্বাদের সঙ্গে এর পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়।
গোল্ডেন মিল্ক খাওয়ার সঠিক সময়
হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক খাওয়ার সেরা সময় হলো রাতে ঘুমাতে যাবার আগে। শোবার আগে এক গ্লাস গরম হলুদ দুধ পান করা রাতে ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করতে পারে। যারা অনিদ্রায় ভুগেন বা রাতে জেগে কাজ করেন, তাদের রুটিনে হলদি দুধ থাকা আবশ্যক। অভ্যন্তরীণ আঘাত বা ফোলা ভাব থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভে এর জুড়ি নেই। ঘুমের সময় মানবদেহের বাহ্যিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে গেলেও শরীরের আভ্যন্তরীণ মেরামতের কাজগুলো করার জন্য ঘুম হলো আদর্শ সময়।
সমূহ সুবিধা সত্ত্বেও কিছু কিছু সময় হলদি দুধ পানের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে হলদি দুধ দোকান থেকে কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে লেবেলের দিকে উপকরণগুলোর পরিমাণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া যাদের দুধে এলার্জি তাদের জন্য এই পানীয় বিপজ্জনক হতে পারে।
সয়া বা বাদামের অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের এই দুধ এড়ানো উচিত। দোকান থেকে কেনা গোল্ডেন মিল্কে বিভিন্ন ধরণের বাদাম ও সয়া থাকে।