গৃহসজ্জার জন্য হয়তো অনেক জিনিসই হয়ত নতুন করে শোবার ঘরে আনছেন আপনি। কিন্তু বেডরুমের নান্দনিকতা কিংবা সৌন্দর্য বাড়ানোর পরিবর্তে সেগুলো উল্টো নেতিবাচক আবহ সৃষ্টি করে। ফলে অজান্তেই সেসব জিনিসের কারণে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে।
সম্পর্কের ইতিবাচক আবহ বজায় রাখার জন্য তাই সেসব জিনিস বেডরুম থেকে দূরে রাখাই শ্রেয়। চলুন দেখে নিই শোবার ঘরের যেসব জিনিস সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের ক্ষতি করছে-
শরীরচর্চার যন্ত্রপাতি
সময় বাঁচাতে অনেকেই বাড়িতে জিম করার ব্যবস্থা রাখেন। ব্যায়ামের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রাখার জন্য অনেকেই বেডরুমকে বেছে নেন। কিন্তু এতে বেডরুমের অনেক জায়গা সেই যন্ত্রপাতির দখলে চলে যায়। তাছাড়া, সঙ্গীর ঘুমের সময় সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে তার মনে বিরক্তির উদ্রেক হতে পারে।
টেলিভিশন
পাশাপাশি বসে দেখার জন্য অনেকেই বেডরুমে টেলিভিশন রাখেন। কিন্তু প্রতিনিয়ত পাশাপাশি টিভি দেখতে থাকলে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে একপর্যায়ে রোমান্টিক সম্পর্কে ভাটা পড়তে পারে। এমনকি পরস্পরের খোলামেলা আলোচনাও কমে যায়।
অপরিষ্কার কাপড়
শোবার ঘরের এক কোণে অপরিষ্কার কাপড়চোপড় থাকলে সেটি শুধু দুর্গন্ধই ছড়ায় না। বরং চোখের সামনেও অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। সব মিলিয়ে অপরিচ্ছন্ন কাপড়ের স্তুপের কারণে আপনার বেডরুমের স্বাস্থ্যকর পরিবেশেরই অবনতি হয়।
অগোছালো বিছানা
বিছানা গোছানো থাকলে সেটি শুধু দেখতেই সুন্দর লাগে তা না; বরং মনেও প্রশান্তির অনুভূতি সৃষ্টি করে। কিন্তু অগোছালো বিছানা দেখলে যে কারোরই মেজাজ খারাপ হবে। তাছাড়া অগোছালো বিছানার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি আপনার উদাসীনতাও প্রকাশ পায়।
অফিসের জিনিসপত্র
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর বেডরুমে মানসিক শান্তি খোঁজেন। কিন্তু সেই জায়গাতেও ল্যাপটপ, ফোনে অফিসের কাজ করলে কিংবা কাজের কাগজপত্র রাখলে তা আপনার অশান্তির কারণ হবে। এমনকি অফিসের কাজের চাপ আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
মৃত মানুষের ছবি
নিজের প্রিয়জন মারা গেলে স্মৃতি ধরে রাখতে অনেকেই তাদের ছবি শোবার ঘরে রাখেন। বিশেষ করে গুরুজনের দোয়ার জন্য অনেকেই তাদের ছবি রাখার দিকে মনোযোগ রাখেন। কিন্তু অনেক ধর্মমতেই শোবার ঘরে মৃত লোকের ছবি রাখা অনুচিত।
আয়না
শোবার ঘরে বিছানার বিপরীত পাশে যদি আয়না থাকে আর তাতে যদি ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের সঙ্গীকে দেখতে পান, তাহলে অজান্তেই এটি সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলে। অনেক দেশের সংস্কৃতিতেই শোবার ঘরে থাকা আয়নায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সঙ্গীকে দেখাকে সম্পর্কে সুস্থতার অভাবের লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়।