অধিকাংশ পশ্চিমাই মনে করেন ভারতীয় খাদ্যের সাথে বিয়ারের স্বাদটাই বেশ যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাদের পরামর্শ, স্বাদ বাড়াতে ভারতীয় খাবারের সাথে যায় এমন পানীয়ের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা এনে দেখতে।
যুগযুগ ধরে ভারতীয় খাবারে ব্যবহৃত জটিল মসলা আর রুচিবর্ধক চাটনির অসাধারণ স্বাদ আর গন্ধ ওয়াইন বিশেষজ্ঞদের বেশ ধাঁধায় ফেলে রেখেছে। পশ্চিমা খাবারের স্বাদের ভারসাম্য রক্ষার্থে সাদা কিম্বা লাল ওয়াইনের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে। সেখানে ভারতীয় খাবারের স্বাদ বাড়াতে বা ভারসাম্য রক্ষার্থে এমন কোন পানীয়েরই প্রয়োজন পরেনা।
ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলোর যেমন বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত, নেপাল আর পাকিস্তানের খাবারগুলোর পরিচয়ই এর জটিল মসলাদার এবং সুগন্ধি স্বাদের। তাই এই খাবারগুলো দলা পাকিয়ে বিয়ার দিয়ে গলধকরণ খাবারগুলোর চমৎকার স্বাদকে ধ্বংস করে দেয়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, নিউ ইয়র্কের ভারতীয় রেস্তরাঁগুলোতে সোমেলিয়েইজরা ভারতীয় খাবারের সাথে ভোজনবিলাসের অভিজ্ঞতা আরও চমৎকার করতে ওয়াইনের ভূমিকা বেশ করে উপলব্ধি করেছে।
আধুনিক ভারতীয় রেস্তোরাঁ জুনুনের ওয়াইন নির্দেশক মাইকেল ডিলিন্সকির মতে, ইউরোপীয় খাবারগুলো তৈরিই করা হয়েছে ওয়াইনের স্বাদকে মাথায় রেখেই। তাই ইউরোপীয় রান্না খাবারের স্বাদ সম্পূর্ণ করতে ওয়াইনের ফ্রুটি, মিষ্টি, তেঁতো এবং ঝাঁঝালো স্বাদের উপর নির্ভর করে।
অন্যদিকে ভারতীয় খাবারগুলো এর বিভিন্ন চাটনি আর সসের জন্য স্বাদে স্বয়ংসম্পূর্ণ! কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটা শুধুই বিয়ারের সাথে খাওয়া যাবে। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কিভাবে ওয়াইন খাবারটাকে আরেকটু ভারসাম্য দিতে পারবে তা বেড় করা।
তাই ওয়াইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতীয় খাবারগুলো খাওয়া যাবে লোয়া ভ্যালির জার্মান ক্যাবিনেট, স্প্যালিজ রিজলিংস কিম্বা দুইমি-সেক ভুভখ্যে’র মত অম্লীয় এবং হালকা মিষ্টি ওয়াইনের সাথে।
রেড ওয়াইনের মধ্যে সায়রাহ আর কাবানে ফ্র্যাকও চমৎকার পছন্দ। এছাড়া ভারতীয় ভাজা-পোড়া খাবারের সাথে শ্যাম্পেইনের স্বাদ অনন্য!