পানীয় হিসেবে চায়ের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। চায়ের পাতা মানেই তা দিয়ে শুধু চা হবে, এমনটাই বেশিরভাগ মানুষের ধারণা। তবে চা পাতা দিয়ে কিন্তু আরও অনেক খাবার তৈর যায়।
চলুন, আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক চায়ের পাতা দিয়ে বিভিন্ন খাবার রান্না সম্পর্কে-
মুরগির মাংস কিংবা সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপের একঘেয়ে স্বাদ এবং গন্ধ বদলে দিতে পারে চায়ের পাতা। এছাড়া তেল-মশলা ছাড়াই স্যুপের স্বচ্ছ রং বদলে দিতে পারে চায়ের পাতা। চায়ের পাতা দেওয়া স্যুপ দেখতে রগরগে হলেও শরীরের কোনো ক্ষতি করে না।
চাল, ডালিয়া, কিনোয়া কিংবা মিলেট একটু পুরনো হলেই তাতে একটা কটূ গন্ধ হয়ে যায়। বর্ষাকালে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। এই গন্ধ সহজে দূর করতে পারে সুগন্ধি চা। চাল বা ডালিয়া সেদ্ধ করার আগে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে জুঁইফুলের গন্ধ-যুক্ত টি ব্যাগ দিয়ে দিন। চা ফুটে উঠলে টি ব্যাগ তুলে নিন। এরপর সেই পানিতে চাল ফোটান। সুন্দর গন্ধ ছড়াবে ভাতে।
মাংস, ডিম, সামুদ্রিক কিছু খাবার দিয়ে “টি-স্মোক্ড” খাবার বানাতেও চা পাতা লাগে। খাবারে স্মোকি স্বাদ আনার জন্য ব্ল্যাক টি কিংবা ওলং টি ব্যবহার করা যেতে পারে।
চা পাতার গুঁড়ো দিয়ে কেক, কুকি এবং আইসক্রিমও তৈরি করা যায়। বেকিং শিল্পে “মাচা” গ্রিন টির গুঁড়ো ব্যবহার নতুন নয়। স্বাদ একটু তিতকুটে হয় বলে এই ধরনের খাবার সকলের পছন্দ না-ও হতে পারে। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, “মাচা” গ্রিন টির পরিবর্তে “বার্গামট” কিংবা “আর্ল গ্রে” টি দিয়েও বেকিংয়ের মিশ্রণ তৈরি করা যায়।
চানা মশলা, পিন্ডি ছোলে কিংবা কালা ভুনার মতো মাংসের পদে যে কালচে রং দেখা যায়, তার পেছনেও কিন্তু চা পাতার ভূমিকা রয়েছে। ছোলা বা মাংস সেদ্ধ করার সময়ে চায়ের লিকার ব্যবহার করলে সেই সব পদ বাড়িতে রান্না করলেও রেস্তরাঁর মতো দেখতে হবে।