অন্তত পাঁচ হাজার বছর ধরে ফলের রাজা বলা হয় আমকে। কাঁচা, পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায় এই ফল। স্বাদ যেমন জিভে জল আনে, তেমনই ঘ্রাণেও তুলনাহীন এই ফল। রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। তবে সব কিছু ছাপিয়ে আজকে বলা যাক, আম কীভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে?
গবেষকদের মতে, প্রতিদিন একটি করে আম খেলে কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি।
গবেষকরা বলছেন, আমের হলুদ এবং কমলা অংশে বিটা কেরোটিন পাওয়া যায়, যাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
আমের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোস্টেট, কোলন ও লিউকোমিয়া ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে আপনাকে। এছাড়া শরীরের হাড় শক্ত করতেও আমের জুড়ি মেলা ভার।
আমে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। আমের পলিফেনল স্তন ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এছাড়া আম কোলোন ক্যান্সার, রক্ত ও স্বল্পতা এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
গবেষণায় জানা গেছে, আম যেহেতু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তাই প্রতিদিন আম খেলে রক্তনালী এবং স্বাস্থ্যকর কোলাজেনের বিকাশ ঘটে। আমে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, পেকটিন কোলেস্ট্রল লেভেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আমের মধ্যে থাকা অ্যামাইলেস যৌগ এবং ডায়েটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকদের মতে, ত্বকের যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারে আম। আম হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। আমের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পাচনতন্ত্রকে স্থিতিশীল করে ফলে আম খেলে হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি হয়। আমের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, আমের খোসা শরীরের ফ্যাটি টিস্যুর বৃদ্ধি রোধ করে। আমে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
ফলে বোঝাই যাচ্ছে, একটি করে আম যদি আপনি রোজ খেতে পারেন তাহলে শুধুমাত্র ক্যান্সার নয়, যে কোনো রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।