হাসি-কান্না নিয়েই মানুষের জীবন। কেউ দুঃখে অঝরে কাঁদেন, আবার কেউ খুশির খবর শুনেও কান্না জুড়ে দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মানুষ নানা সময় কান্না করেন। আবার অনেকেই বলেন, কান্না চেপে না রেখে, কেঁদে নিলে মন হালকা হয়।
তবে কাঁদলে শুধু মন হালকা হওয়া নয়, এর বাইরেও অনেক গুণ আছে। অর্থাৎ কান্না শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
জীবাণু ধ্বংস হয়
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কাঁদলে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও চোখের নানা অপকারী জীবাণু থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। চোখের পানিতে “লিসোজাইম” নামের এক উপাদান থাকে, যা অধিকাংশ জীবাণু মেরে ফেলে। ফলে ধুলো ও ধোঁয়া থেকে চোখে যে নোংরা জমে, চোখের পানি তা পরিষ্কার করে ফেলে।
ওজন কমে
সম্প্রতি উইলিয়াম ফ্রে নামে এক চিকিৎসা বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, কাঁদলে চোখের পানির সঙ্গে “কোর্টিসোল” নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মেদ কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া কাঁদার কারণে শরীর থেকে প্রচুর টক্সিনও বেরিয়ে যায়। সেটিও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এই বিজ্ঞানী আরও জানিয়েছেন যে, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কাঁদলে কোর্টিসোলের ক্ষরণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি হয়। তাই ওজন কমে সবচেয়ে বেশি।
ঘুম ভালো হয়
২০১৫ সালে প্রকাশিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কান্না করার সময় শরীরের ভেতর এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে তাড়াতাড়ি ও প্রশান্তির ঘুম আসে।
এটি এক ধরনের চিকিৎসা
কান্নাকাটি করা এক ধরনের চিকিৎসার মতো। এটা উদ্বেগ কাটায়, বিষণ্ণতা দূর করে। আবেগে কাঁদতে পারাটা বহু কারণেই মন ও দেহের জন্য উপকারী। দীর্ঘদিন ধরে আবেগ চেপে রাখা ক্ষতিকর। এটি মস্তিষ্কেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।